শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসব : সিলেট বিভাগজুড়ে ২হাজার ৪শ’টি মণ্ডপ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০১৬, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহাষষ্ঠীতে বোধনের মধ্য দিয়ে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে।
মহাশক্তি মহামায়া দুর্গতিনাশিনী দুর্গা এবার স্বামীর গৃহ কৈলাস থেকে বাবার বাড়ি বসুন্ধরায় আসছেন ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে। আর ফিরবেনও ঘোড়ায় চড়ে।
এদিন (শুক্রবার) দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধে খড়গ-কৃপাণ, চক্র-গদা, তীর-ধনুক আর ত্রিশুলহাতে হাজারো মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হলেন।
এবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই বৃহত্তম পূজা সিলেট বিভাগজুড়ে পারিবারিক, বারোয়ারি ও সার্বজনীন মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার ৪শ’টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মন্ডপে মন্ডপে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি থাকছেন আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা।
জানা যায়, এবার দুর্গাপূজায় সিলেট জেলায় ৫৮৫টি এবং সিলেট মহানগর এলাকায় ৬৪টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় ৩১৬টি, মৌলভীবাজারে ৯০৫টি এবং হবিগঞ্জ জেলায় ৬০২টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গা মণ্ডপে চলবে ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, মহাপ্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যায় আরতি প্রতিযোগিতা। বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে ১১ অক্টোবর সরকারি ছুটি। এদিন রাষ্ট্রপতি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে থাকে। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সপ্তমী, রোববার (৯ অক্টোবর) অষ্টমী, সোমবার (১০ অক্টোবর) মহানবমী এবং মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হবে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ-উদ্দীপনায় পূজা উদযাপিত হবে।
এবার নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তার উদ্যোগ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য। নিরাপত্তা কাজে পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাঠে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও তৎপর। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে যা কিছু করার, সবই করবে পুলিশ।