ছাত্রলীগে সহ-সম্পাদক পদ পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে বদরুল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০১৬, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে গত ৫ বছর ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। সে ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার পর এই উত্যক্তের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দেয়।
বদরুলের সহপাঠীরা জানান, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তার সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স ইতোমধ্যে সম্পন্ন করলেও সে এখনো কোর্স শেষ করতে পারেনি। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে যায় বদরুল। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
লজিং শিক্ষক হিসেবে খাদিজাদের বাসায় থাকার সময় স্কুলপড়ুয়া খাদিজা আক্তার নার্গিসকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে বদরুল আলম। সোমবারের হামলার আগে গত ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি খাদিজার স্কুল জাঙ্গাইল সফির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করে বখাটে বদরুল। তখন খাদিজার স্বজনরা তাকে ধরে গণপিটুনিও দিয়েছিলেন। এরপর খাদিজা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তির পর নিয়মিত খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বদরুল। প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে গত সোমবার (৩ অক্টোবর) সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে নৃশংসভাবে চাপাতি দিয়ে কোপায় বদরুল।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বদরুল বলেছে, খাদিজা দীর্ঘদিন থেকে আমাকে পাত্তা না দেয়ার কারণেই তার ওপর আমি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠি। নগরীর আম্বরখানার এক দোকান থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে চাপাতি কিনি এবং হত্যার উদ্দেশ্যেই তাকে কোপাই। ইচ্ছা ছিল ওখানেই তাকে শেষ করে দেয়ার।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় কলেজের পুকুর পাড়ে চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। অন্য শিক্ষার্থীরা তখন বদরুলকে ধাওয়া করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বুধবার বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।