লাইফ সাপোর্টে কলেজছাত্রী খাদিজা, অবস্থা আশংকাজনক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০১৬, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজ ক্যাম্পাসে কথিত প্রেমিকের কোপে আহত সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নারগিসকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকেই খাদিজাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে গুরুতর জখম হওয়ার পর তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তার মাথায় ৫-৬টি কোপ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি। তারা বলেছেন পরিস্থিতি ভাল না। কোপে মারাত্মক জখম হয়েছে।
স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ওসমানী মেডিকেলে অস্ত্রোপচার হলেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়া ভোরেই অ্যাম্বুলেন্সযোগে স্কয়ারে নিয়ে আসা হয়। ভর্তির পর পরিস্থিতি দেখে তৎক্ষণাৎ তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নার্গিসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন বদরুল আলম (২৭)। ছুরিকাঘাত করার মুহূর্তটি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দাবি উঠছে বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
কথিত ওই প্রেমিক বদরুল আলম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮-০৯ সেশনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন বদরুল। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুনাইঘাতি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
আর খাদিজা বিশ্বনাথ উপজেলার আউশা এলাকার সৌদী আরব প্রবাসী মাসুক মিয়ার মেয়ে। পরিবারের সাথে সিলেট নগরীর জালালাবাদ এলাকার বসবাস করেন তিনি।