জার্মানি’র ফ্রাঙ্কফুর্টে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০১৬, ৪:১৬ পূর্বাহ্ণ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কল্যান ট্রাস্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট এর উদ্যোগে শনিবার স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানিতে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী এতে অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহন এবং তাদের নাচ গান উৎসবকে করে তুলেছিল আনন্দময়। ঈদের সাঁজে সজ্জিত জার্মানি প্রবাসী বাঙালি রমনীদের অংশগ্রহন অনেকটাই ছিল লক্ষনীয়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক সবাই মগ্ন ছিল উৎসবে। নাচ, গান, কবিতা সব কিছু মিলিয়ে পুরু অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল প্রবাসের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ।
সাথী ও ফয়সালের মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ কল্যান ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মঞ্জুর হোসেন সরকার। উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাসুদ রেজা, আনোয়ার কবির, আওলাদ হোসেন, ফারুক আলম, সেলিম, আবু সেলিম প্রমুখ।
জার্মানি প্রবাসী নতুন প্রজন্মের শিল্পী মিথি মারজান, রিয়েল আনোয়ার, নিম্মি কাদের, পলি সেলিম এবং শোমা তালুকদারের একের পর এক দেশীয় গান অনুষ্ঠানকে করে তুলেছিল প্রাণবন্ত। শিশু কিশোরদের কবিতা, নাচ, গানসহ বিভিন্ন পারফরমেন্স ছিল প্রশংসনীয়। পিতামাতারা তাদের সন্তানদেরকে সুন্দর বাঙালি সংস্কৃতি শিখাতে এবং মঞ্চে গিয়ে তা উপস্থাপন করতে সোচ্চার দেখা গিয়েছে।
অপ্সরি হকের মনকাড়া নৃত্য অনুষ্ঠানে এনে দিয়েছিল বাড়তি বাঙ্গালিয়ানা। বাবুল তালুকদার ও হ্যাপি উদ্দিনের কবিতা আবৃতি মুগ্ধ করে তুলেছিল সবাইকে। অসংখ্য গান, নৃত্য, আবৃতি, কৌতুক, মহিলাদের বালিশ খেলা সহ সব কিছু যেন সবাইকে হারিয়ে দিয়েছিল প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশী খাবারের ব্যাপক আয়োজন। প্রবাসী ভাবীদের ব্যবস্থাপনায় মহিলা মেলা, শিশুদের জন্য বালিশ খেলা, মহিলাদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব, লাকি ড্র ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে করে তুলেছিল প্রাণবন্ত। স্থানীয় সময় বিকাল ৬ টা থেকে শুরু হয়ে রাত বারটা পর্যন্ত চলে ঈদ পূনর্মিলনীর এই অনুষ্ঠান।
মন মাতানো এ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সকল দলের এবং সকল মতের বাঙালি কমিউনিটির প্রায় সবাই এই উৎসবে অংশগ্রহন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতি বছর অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে এই উৎসবটির জন্য। তাঁরা জানান, একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সবাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ফলে এটি একটি বার্ষিক মিলন মেলায় পরিনত হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মঞ্জুর সরকার জানান, অডিটোরিয়াম পেতে দেরি হওয়ায় কিছুটা বিলম্বে হলেও সফলভাবে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে পেরে তাঁরা সন্তুষ্ট।
অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের বালিশ খেলা, মহিলাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, লাকি ড্র ইত্যাদিতে বিজয়ীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিল্পী, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যাক্তিদেরকে সম্মাননা পুরুস্কার দেয়া হয়। বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে এই উৎসব সবার জীবনে নিয়ে আসে নতুন করে পথচলার উদ্দীপনা। নতুন করে ভালবাসতে শিখায় দেশকে এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে এমনটাই বলছিলেন অংশগ্রহণকারীদের অনেকে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি