সিলেটে ভাগনিকে ধর্ষণ : আপন মামা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে, বাদিকে অব্যাহত হুমকি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০১৬, ৫:৩৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
আপন ভাগনির সম্ভ্রম কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা রেকর্ড করলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলা রেকর্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও আসামিদ্বয় এখনো রয়েছে অধরা। আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় তারা মামলার বাদি ও তাঁর মাকে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছেন বলে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী।
অভিযোগে সে উল্লেখ করে, ধর্ষণের ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না। আসামিরা তাকে ও তার মাকে হুমকি দেয়ায় তারা প্রাণের ভয়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজির কাছে সে এ অভিযোগ করেছে।
উল্লেখ্য, ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই কিশোরীর আপন মামা নিজাম আহমদ ও তার শ্যালক ছালেক আহমদের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি। এর আগের দিন মেয়েটিকে ভর্তি করা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)। ওই দিনই মেয়ের মায়ের মাধ্যমে ওসিসির দায়িত্বরত কর্মকর্তা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানাকে লিখিত অনুরোধ জানান। কিন্তু কোতোয়ালি থানাপুলিশ অজ্ঞাত কারণে ওই কিশোরীর অভিযোগটি মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করেনি। পরে গত ৯ সেপ্টেম্বর থানার ওসি মামলাটি রেকর্ড করেন।
মেয়েটি জানায়, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে সংসারে অভাবের কারণে সে আর এগোতে পারেনি। তার বাবা ভিটেমাটিহীন; তাই মামার বাড়িতেই তাদের বসতি ছিল। মেয়ের মামা গেইট গ্রিলের ওয়ার্কশপে কাজ করেন। থাকেন নগরের শেখঘাট নবাব রোডের ৩৯৯ নম্বর জিতু মঞ্জিলে। মামা নিজাম আহমদ ওই বাসার কেয়ারটেকার। জিতু মঞ্জিলের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করায় তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করেন। বছরখানেক আগে মেয়েটির মা তথা বড়বোনকে বলে নিজের সংসারের কাজকর্ম ও দুই শিশুকে দেখাশোনা করার জন্য ভাগনিকে (মেয়েটিকে) নবাব রোডের ৩৯৯ নম্বর জিতু মঞ্জিলে নিয়ে আসেন। মামার বাসায় ভালোই দিন কাটছিল ভাগনির। মামা নিজাম আহমদের বাসায় নিয়মিতই আসতেন তার শ্যালক সালেক আহমদ। কিন্তু মেয়েটি জানত না এক সময় মামা আর মামার শ্যালকের কুনজরের বলি হবে সে। মেয়েটির অভিযোগ, সে তার আপন মামা ও মামার শ্যালকের হাতে ১৫ দিনে ৬ বার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে মেয়েটি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়।