শিক্ষক গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল মহা সড়ক অবরোধ
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ অক্টোবর ২০১৬, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
জৈন্তাপুরে আপোষ মিমাংসা হওয়া মামলাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে প্রধান শিক্ষক সহ ২ জনকে আটক করে থানায় পুলিশ। এঘটনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় জনতা। অতঃপর গণমান্যদের মধ্যস্থতায় শিক্ষক মুক্ত হন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে যানা যায়, বিগত ৮জুলাই বেলা ২টায় নয়াখেল জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠেলা ধাক্কার ঘটনা ঘটে। এনিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর মামলা দায়ের করেন যাহার নং-০৩, তারিখঃ ০৯-০৭-২০১৬।
পরবর্তীতে মামলার বিষয়টি অবগত হইয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে সালিশ বিচারে মাধ্যমে পক্ষদ্বয়ের ভূল বুঝাবুঝির ঘটনায় মিমাংসা হওয়ায় থানায় ১২জুলাই জৈন্তাপুর মডেল থানায় আপোষ নামার মাধ্যমে মামলাটি উত্তোলন করা হয়।
এসময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে থানায় উভয় পক্ষ আপোষ নামা প্রদান করেন। অজ্ঞাত কারনে মামলাটি আদালতে প্রেরণ করা হয়। সেই মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অপর ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। সেই ওয়ারেন্ট তামিল করতে গিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই রুমেন আহমদ ০১অক্টোবর দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার নয়াখেল গ্রামের মৃত হাতিম আলীর ছেলে নিজপাট সরকারী প্রাথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান, তার বড় ভাই আইয়ুব আলী একই গ্রামের মৃত হাজি ছিকন্দর আলীর ছেলে বদরুল আলমকে আটক করে নিয়ে আসেন।
ঘটনানার সংবাদ পেয়ে নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্রাট সহ ইউপি সদস্যগন থানায় এস আই রুমেন আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অসদাচরন করেন। এদিকে নিষ্পতি হওয়া মামলায় শিক্ষক আটক হওয়ার সংবাদে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠে। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে। জনতা এস.আই রুমেনের প্রত্যাহার দাবী করেন এবং শিক্ষককে মুক্তির দাবীতে মিছিল করতে থাকে।
শিক্ষক আটক ও রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, নিজপাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান বাবুল, নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্্রাট, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, সাবেক নিজপাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী, ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া, আব্দুল হালিম ও জৈন্তাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দরা বলেন মামলাটি আপোষ নিষ্পত্তি হওয়ার পর থানায় আপোষ নামা প্রদান করা হয় এবং আনুসাঙ্গীক খরচাদি বাবত ২০হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে কিভাবে মামলাটি শেষ না করে আদালতের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয় এটি বোধগম্য নহে। এনিয়ে নেতৃবৃন্দরা অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবীরের আলোচনার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমানকে নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্রাটের জীম্মায় ছাড়ীয়ে আনা হলে অবরোধকারীরা রাস্তার অবরোধ তুলে নেয়।
এবিষয়ে অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবীর জানান- আমরা তাদেরকে আদলতে হাজির করলে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিন পায় বলেন জানান।