চট্টগ্রামে একে-২২ রাইফেলসহ অস্ত্র উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার আইস ফ্যাক্টরি সড়কের বাস্তুহারা কলোনিতে অভিযান চালিয়ে একে-২২ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে টানা ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানানো হয় র্যাব থেকে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্রগুলোর সঙ্গে এখানকার ধারালো অস্ত্রগুলোর প্রচুর মিল রয়েছে। এ ঘটনায় বাস্তুহারা কলোনির দুটি ঘরের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করেন তারা। চলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এই কলোনিতে অন্তত ৩০০০ থেকে ৫০০০ লোক বসবাস করেন। তবে এলাকাটি পুলিশের খাতায় মাদক ব্যবসা ও অস্ত্র কেনাবেচার জোন হিসেবে লেখা আছে।
ঘটনার সময় এলাকাটি ঘিরে ফেলেন র্যাব কর্মকর্তারা। এরপর দুটি ঘর থেকে পাওয়া যায় একে-৪৭, দুটি ম্যাগাজিন, একটি বন্দুক, ১৬টি রকেট ফেয়ার ও চারটি রামদা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযান শুরুর আগেই উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী। ওই কলোনিতে অন্তত ৬-৭টি গলি রয়েছে।
দুপুর পৌনে একটায় সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রেলওয়ের বাস্তুহারা বস্তি থেকে একে-২২ সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই বস্তির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় দুটি ঘরের পাশ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এই দুই ঘরের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমাদের ধারণা, জঙ্গিরা অভিযানের বিষয়ে টের পেয়ে অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত আছে।
কেন জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা অনুমান করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামপ্রতিককালে বিভিন্ন জঙ্গিদের কাছ থেকেই একে-২২ এর মতো অস্ত্র পাওয়া গেছে। এরকম অস্ত্র সাধারণদের ব্যবহার করার কথা নয়। তাই আমাদের ধারণা, কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এর সঙ্গে জড়িত।
জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে কারা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে- এ প্রসঙ্গে র্যাব-৭ অধিনায়ক বলেন, শহীদ হামজা ব্রিগেড কিংবা জেএমবি সংশ্লিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে। আমরা তাদের সন্দেহ করছি। এখানে অবস্থান করা অধিকাংশ ভাড়াটিয়াই অপরিচিত। পুরো বিষয়টি তদন্ত শেষে বলা যাবে কোন জঙ্গিগোষ্ঠী জড়িত।