ব্রিটেনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলে সিলেটীদের আধিপত্য
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:০৭ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ
দেশপ্রেমের তাড়না । তা থেকেই প্রবাসে রাজনীতি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রবাসেও দেশীয় রাজনীতির পদচারণা। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরেই বহির্বিশ্বে চলছে রাজনৈতিক চর্চা। ব্রিটেনে বাংলাদেশী জনগোষ্টির অনেকেই নিজেদের শত ব্যস্ততা উপেক্ষা করে ব্রিটেনে দেশীয় রাজনীতির চর্চা অব্যাহত রেখেছেন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী রাজনীতির অন্যতম বড় জায়গা ব্রিটেন। আর এখানকার প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির শীর্ষ প্রায় সব পদে রয়েছে সিলেটীদের আধিপত্য।
জানা যায়, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ছাড়া দুটি দলের নেতৃত্বে থাকা সবাই সিলেটী। যুক্তরাজ্য শাখার সাধারন সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুকের বাড়ি জগন্নাথপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামে। ৯ জানুয়ারী ২০১১ সালে দীর্ঘ ১৩ বছর পর অনুষ্টিত যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সম্মেলনে দলটির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামানের বাড়ি ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা ইউনিয়নের তিলাপাড়া গ্রামে। যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধুর বাড়ী ওসমানীনগর উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রাউতখাই গ্রামে। সাধারন সম্পাদক সেলিম আহমেদ খান এর গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারি ইউনিয়নের কালিজুরি গ্রামে। ২০১২ সালের ২০ জুন এক সম্মেলনের মাধ্যমে তারা যুবলীগের নেতৃত্বে আসেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ সভাপতি তামিমের বাড়ী জেলার জকিগঞ্জ।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের বাড়ী দক্ষিন সুরমা উপজেলার তেতলী গ্রামে। সাধারন সম্পাদক কয়সর এম আহমদের বাড়ী জগন্নাথপুর উপজেলার সিলিমপুর গ্রামে। ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্দেশে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাক্ষরিত কমিটিতে তারা দলটির যুক্তরাজ্য শাখার দায়িত্বে আসেন। যুক্তরাজ্য যুবদল ও ছাত্রদলের কোন কমিটি নেই। দলের সহযোগী সংগটন সেচ্চাসেবক দলের সভাপতি সাহিন আহমেদ নাসিরের বাড়ী মৌলভী বাজারের দিগিরপার গ্রামে। সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেনের বাড়ী জগন্নাথ পুর । ২০১৫ সালের ১০ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে তারা সংগটনটির নেতৃত্বে আসেন তারা।
এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী,খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ব্রিটেন শাখার শীর্ষ পদ ও রয়েছে সিলেটিদের দখলে। শত ব্যস্ততা উপেক্ষা করে দেশীয় রাজনীতি চর্চা করছেন প্রবাসীরা। শুধু পদ আগলে থাকা নয় দলীয় সকল কর্মসূচী দেশের ন্যায় এখানেও তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও বিগত কিছুদিন যাবত তাদের কর্মকান্ড প্রশ্নের সম্মুখীন। কমিউনিটির অনেকেই বলেছেন, ব্রিটেনের রাজনীতি ও দেশীয় রাজনীতি দুটোই আমরা সিলেটিদের দখলে। রাজনীতিতে একে অপরের বিরোধিতা করলেও জাতীয় স্বার্থে আমরা একই মঞ্চে উঠে একাত্মতা পোষন করেছি। কিন্তু বর্তমান পেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশ থেকে নির্দেশনা পেয়ে এখন সবাই একে অপরকে ঘায়েল করতে ব্যতিব্যস্থ। এতে আমরা সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী ও প্রবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছি ন্যায্য দাবী দাওয়া থেকে।