সুখবর : তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন বৈধ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ব্রিজবেনের পরীক্ষায় তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আইসিসির এই বার্তার ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের অনুমতি মিললো বাংলাদেশি এই দুই বলারের। এতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচের দলে জায়গা পাচ্ছেন তাসকিন। কারণ আফগানস্তান সিরিজের বাংলাদেশ স্কোয়াড ঘোষণার সময় তার জন্য একটি জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে দল ঘোষণার সময়ই প্রধান নিবাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন, তাসকিনের ইতিবাচক ফল আসবে ধরে নিয়েই একটি জায়গা ফাঁকা রেখে ১৩ জনের স্কোয়াড দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ মার্চ ধর্মশালায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন। পরে ১৫ মার্চ চেন্নাইয়ে রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন দুজন। ১৯ মার্চ অবৈধ অ্যাকশনের দায়ে দুজনকেই বোলিংয়ে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
তবে চেন্নাইয়ের রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে তাসকিনের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়ে, প্রশ্ন উঠে তার বৈধতা নিয়েই। ১৫ মার্চের পরীক্ষায় মাত্র ৩-৪ মিনিটের মধ্যে তাসকিনকে ৮-৯টি বাউন্সার দিতে বলা হয়। এর মধ্যে তিনটি বাউন্সারে অবৈধ অ্যাকশন ধরা পড়েছে।
এত অল্প সময়ে অতগুলো বাউন্সার দিতে হলে এ রকম হওয়াটা অস্বাভাবিকও নয়। মূলত এই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করেই তাসকিনের বোলিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইসিসি। কিন্তু নিয়ম হলো, ম্যাচের যে ডেলিভারিতে অ্যাকশন সন্দেহজনক মনে হয়েছে, পরীক্ষায় সেটাই করতে বলা হবে বোলারকে।
সে অনুযায়ী পরীক্ষায় তাসকিনকে বাউন্সার দিতে বলার কথা নয়। কারণ নেদারন্যান্ডের বিপক্ষে যে তিনি কোনো বাউন্সারই দেননি! বাউন্সারে তাঁর অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ ওঠারও তাই কোনো অবকাশ ছিল না ওই ম্যাচে।
আইসিসির সিদ্ধান্তে আরেকটি নিয়মেরও ব্যত্যয় ঘটার অভিযোগ আছে। ‘স্টক ডেলিভারি’ ছাড়া অন্য কোনো ডেলিভারিতে কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হলেও আইসিসি কোনো বোলারের বোলিং নিষিদ্ধ করতে পারে না। শুধু ভবিষ্যতের জন্য সতর্কই করতে পারে।
এমন প্রশ্ন ওঠায় ২১ মার্চ তাসকিনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করে বিসিবি। তবে দু’দিন পর জুডিশিয়াল কমিশনার বহাল রাখেন নিষেধাজ্ঞা।