মৌলভীবাজারে পিতা হত্যাকারী ঘাতক পুত্র এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ৭:০০ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় পিতাকে হত্যা করে সেফটিক ট্যাঙ্কে পুতে রাখার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার মুলহোতা ও ঘাতক পুত্র মঈন উদ্দিন (২৭) এখনও রয়েছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ বলছে ঘাতক মঈন উদ্দিনকে আটকে তাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে। টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাগৃহাল গ্রামে পাষ- পুত্রসহ পরিবারের সদস্য কর্তৃক আলোচিত মহব উল্যাহ হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী ও নিহতের ছোট ভাই লোকমান আলী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত মামলার আসামী মহব উল্যার স্ত্রী হাসনা বেগম, আলাউদ্দিন, সাফিয়া বেগম, মেয়ের জামাই হারিছ আলীসহ ৫ জনকে পুলিশ আটক করে।
গতকাল সোমবার সরেজমিন গেলে নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রফিক ও লোকমান আলী জানান, মহব উল্যার বড় মেয়ে একই ইউনিয়নের ডরিতাজপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৩৫), মেয়ের জামাই মবশ্বির আলী (৪২) ও তাদের ছেলে জলাল মিয়া (২২) গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল বেলা একটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে ঘটনাস্থলে অর্থাৎ নিহতের বাড়ীতে আসেন। একপর্যায়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনার সাথে তারাও জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বিনয় ভূষন রায় জানান, আটককৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মূল হোতাকেও আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর মহব উল্যাকে এলাকায় নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি ছড়ানো হয়। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নিহতের নিজ বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। স্থানীয় লোকজন কুলাউড়া থানা পুলিশে খবর দিলে সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে মহব উল্যার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।