বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিতে ভরে উঠে ওসমানীনগরের হাট-বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৃষ্টি হলেই সিলেটের ওসমানীনগরের সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ চরমে পৌঁছে। গ্রাম্য রাস্তা থেকে শুরু করে হাট-বাজার পর্যন্ত জলাবদ্ধতায় কাদা-পানিতে ভরে উঠে। অথচ, গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রতি বছর সরকার জোর দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। প্রবাসী অধ্যুষিত ওসমানীনগরের এ সমস্যা বছরের পর বছর চললেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে মৌন ভূমিকা পালন করছে। উপজেলার প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীর বাজার, বুরুঙ্গা বাজার, শেরপুর বাজার গুলো অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত। প্রধান বানিজ্যিক এলাকা গোয়ালা বাজারের হাট ইজারার মাধ্যমে সরকার বছরে কোটি টাকার মতো রাজস্ব আয় করলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে চরম পিছিয়ে রয়েছে উপজেলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ এ ইউনিয়নটি। বাজার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, অলিতে-গলিতে কাদা, ভাঙ্গাচুড়া রাস্তায় নিষ্কাশনের সঠিক পথ না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে বাজারের গলিগুলো জলাবদ্ধতার শিকার হয়। গোয়ালা বাজারের গরুর হাটে কাদার জন্য অনেক সময় স্থানও পরিবর্তন করতে হয়। গোয়ালা বাজারে রয়েছে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন বাজার এলাকায় কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটে। অথচ টানা এক ঘন্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় গোয়ালাবাজারের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অনুরূপ ভাবে থানার অন্যতম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাজপুর ও দয়ামীর, শেরপুর (উত্তরপাড়) বাজারও নানা সমস্যায় জর্জরিত। সিলেটের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো ওসমানী নগরে হওয়ায় উপজেলার পাশ্ববর্তী নবীগঞ্জ, রাজনগর, ও জগন্নাথপুর এলাকার ক্রেতা-বিক্রেতারও সমাগম ঘটে উক্ত বাজার গুলোতে। একাধিকবার রাস্তা সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন মহল বরাবরে আবেদন জানালেও প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব রয়েছে। এদিকে ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় ক্রমাগত ভরাট হওয়ার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই গ্রাম্য রাস্তা গুলো পানি জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। জনসাধারণের চলাচলে নেমে আসে দুর্ভোগ। ওসমানীনগরের বুড়ি-বরাক, রত্মা, বানাইয়া, কালাসারাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক জলশায় ক্রমাগত ভরাট হওয়ার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়া ব্যক্তি স্বার্থে বিভিন্ন স্থানে পানি নির্গমনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবারের মতো জনদূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।