সীমান্তে আটকে আছে ১৩ লাখ গরু!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
সীমান্তের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের চাঁদাবাজির কারণে ঈদের আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ সীমান্তে আটকে আছে ১৩ লাখ গরু। এতে দেশে কোরবানির পশুর সংকট দেখা দিতে পারে বলে দাবি করছেন সীমান্তের গরু ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সীমান্ত গবাদিপশুর খাটাল মালিক গরু ব্যবসায়ী আবদুস সামাদ এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদ ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাগঞ্জ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট ১৩ লাখ গরু দেশে প্রবেশের অপেক্ষা আছে। কিন্তু স্থানীয় ক্ষমতাশালী একাধিক গ্রুপ ও প্রশাসনের চাঁদাবাজির কারণে এসব গরু আনা যাচ্ছে না। সীমান্তে চাঁদাবাজদের পৃথক প্রায় ১০ গ্রুপ রয়েছে, প্রতিটি গরু আমদানি করলে তাদের আড়াই হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এভাবে ১০টা গ্রুপকে মোট ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে দেশে গরু প্রবেশ করালে গরুর দাম দ্বিগুণ হয়ে যায় বলে জানান তিনি।
দেশের খামারিদের মাধ্যমে উৎপাদিত গরুতে কোরবানির ৪০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় দাবি করে তিনি বলেন, বাকি ৬০ শতাংশ গরু বৈধ পথে দেশে আমদানি করে থাকে সরকার অনুমোদিত খাটাল মালিকরা। চাঁদাবাজি যদি বন্ধ না হয় তবে এবারের ঈদে ৫০ হাজার টাকার একটি গরুকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে বলে জানান তিনি।
গরু ব্যবসায়ী আবদুস সামাদ বলেন, চাঁদাবাজি ঠেকাতে সীমান্তে যে পরিমাণ টহল দেওয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। সীমান্তে বিজিবির টহল আরও জোরদার করতে হবে। তাহলে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং বৈধ পথে সরকারকে রাজস্ব দেয়ার মাধ্যমে গরু আমদানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
এতে দেশের মানুষ কিছুটা কম দামে কোরবানির গরু ক্রয় করতে পারবেন। পাশাপাশি সারা বছর দেশে মাংসের দামও ক্রেতাদের হাতের নাগালে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাজিদুল ইসলাম, জহির রায়হান, ওমর ফারুক, জালাল বিশ্বাস, নুরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।