পলাতক থেকে প্রকাশনা: সিলেটে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১:০৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
পলাতক থাকা অবস্থায় নিজেদের মালিকানাধীন পত্রিকা ‘দৈনিক সিলেটের ডাক’ এর প্রিন্টার্স লাইনে প্রকাশক, মুদ্রক ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি হিসেবে রাগীব আলী এবং সম্পাদক হিসেবে আবদুল হাইয়ের নাম ব্যবহার করায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরীর উপশহর বি ব্লকের বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জের ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার বাদী হয়ে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সিলেটের শিল্পপতি ও তথাকথিত দানবীর রাগীব আলী এবং তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে মামলাটি দায়ের করে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করেন- এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী, এডভোকেট আবুল হাসান, এডভোকেট সফিকুল ইসলাম, এডভোকেট সজল কুমার রায়, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম, এডভোকেট সৈয়দ মুজিবুল হক, এডভোকেট শহীদুল হক শাহীন ও এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
আদালতে নালিশকারী হিসেবে গিয়াস উদ্দিন তালুকদার আবেদনে উল্লেখ করেছেন- দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার প্রকাশক, মুদ্রক ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি হিসেবে রাগীব আলী এবং সম্পাদক হিসেবে আবদুল হাই বহুল পরিচিত। এ দুইজনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালী থানায় জিআর ৭৪/২০০৫ এবং জিআর ১১৪৬/২০০৫ নং মামলায় গত ১০ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এমনকি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। কোনো পলাতক আসামী আইনের সুবিধাভোগী হতে পারে না। সংবাদপত্র একটি আইনী প্রকাশনা। সিলেটের ডাক এর সম্পাদক, প্রকাশক, মুদ্রক আদালতে আত্মসমর্পণ না করে স্বীয় নাম ব্যবহার করে পত্রিকা প্রকাশ করতে পারেন না। আইন লঙ্ঘন করে নাম ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠকদের সাথে ফাঁকিবাজি ও প্রতারণা করা হচ্ছে। গত ১১ আগস্ট থেকে আজ ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই তাদের নাম যুক্ত করে দৈনিক সিলেটের ডাক প্রকাশক্রমে উপর্যুপুরি প্রতারণার অপরাধ করে চলেছেন। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার জন্য আবদুল হাই ২৯টি সংখ্যা প্রকাশ করে ২৯টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অন্যদিকে রাগীব আলী প্রকাশক ও মুদ্রক হিসেবে দ্বৈত সত্ত্বায় প্রতিদিন ২টি করে অপরাধের দায় বহন করায় অপরাধের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮টিতে। তবে সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি পদ অলংকারিক হওয়ায় কোনো অপরাধ বর্তায় না।