শ্রীমঙ্গলে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ৯:২৬ অপরাহ্ণ
তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে:
মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় প্রধান উৎসব ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। ঈদের মাত্র হাত গুনা ক’দিন বাকি। রয়েছে কয়েকটি গো-হাট এরই মধ্যে যাঁরা কোরবানী দিবেন তাদেরকে কুরবানীর পশু ক্রয় করতে হবে। হাটে গরু আমদানির পাশাপাশি ক্রেতার ও সমাগম ঘটেছে বেশ চোখে পড়ার মতো। গরু বিক্রেতাগণ বেশ জোরে সোরেই তাদের গরুর চড়া দাম হাকছে। তবে বাজারে পশুর আমদানী বেশী হলেও দাম বেশী হওয়ার কারনে বেচা বিক্রি কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। শ্রীমঙ্গল সাগরদিঘী রোডস্ত গরুর বাজার গত সোমবার ছিল হাট বার। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপছেপড়া ভীড় ছিল রাত ১০ টা পর্যন্ত। ঈদের আর মাত্র সপ্তাহ খানিক বাকী থাকায় বাজারের ভীড়ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে। শেষ মুহুর্তে আরো বেশী ভীড় হবে এবং রাত ১২/১ পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরু বাজার কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বছরই প্রথমবারের মত পৌরসভার নির্ধারিত গরুর বাজার সম্পূর্ন হাট ছিল গরু, ছাগল ও অন্যান্য পশুতে পরিপূর্ন। তবে দেশী-বিদেশী গরুর আমদানী প্রচুর হলেও দাম বেশী থাকায় মধ্যবিত্ত এবং নিন্মবিত্ত মানুষকে হিমশীম খেতে দেখা গেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় ইন্ডিয়া থেকে গরু কম আমদানী হওয়ার কারনে দাম একটু বেশী। অনেককে কোরবানীর পশু না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে আরো দু-এক দিন অপেক্ষা করে কোরবানীর পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে । উপজেলার শাহিবাগ গ্রামের ক্রেতা সারোয়ার জনি জানান, বাজারে গরুর আমদানী বেশী হলেও বাজারে দাম খুব বেশী তাই কোরবানীর গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তরসূর এলাকার বিক্রেতা আছাব উল্লাহ জানান , বাজারে দাম বেশী হওয়ায় অনেক ক্রেতা কোরবানীর পশু না কিনে চলে যাচ্ছেন। যার ফলে আমরা আশানুরুপভাবে বিক্রি না করতে পারায় সেগুলো নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। একটি গরু ৯০ হাজার টাকা দাম চাইলেও ক্রেতারা ৬৫ হাজার টাকা দাম করেছেন। তাই বিক্রি করতে পারিনি। তবে ঈদের আগে ২ / ১ দিন বাজার আরো অনেক ভাল হবে বলে আশা করছি।