সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে মানব স্ক্যানিং ডিভাইস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২:৩৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে মানব স্ক্যানিং ডিভাইস বসানো হচ্ছে। প্রথমবারের মতো উচ্চ প্রযুক্তির এই মানব স্ক্যানার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের অত্যাধুনিক ও কার্যকর ডিভাইস স্থাপন জরুরী হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মানব স্ক্যানিং ডিভাইসের মাধ্যমে মানবদেহের অভ্যন্তরে বহনকৃত যে কোনো জিনিসের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। কোনো ধরনের রেডিয়েশন ছাড়াই এ স্ক্যানার যাত্রীর দেহের পরিপূর্ণ স্ক্যানিং করতে সক্ষম।
জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে মানব স্ক্যানিং ডিভাইস স্থাপনের প্রস্তাব পাঠান। শুধু ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরই নয়, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দরেও এ ডিভাইস স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, উন্নত দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মানব স্ক্যানিং ডিভাইস স্থাপন করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তাদের মতে, দেশের বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করে সোনা, মাদকদ্রব্য, দেশী-বিদেশী মুদ্রাসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য পাচার করে পাচারকারীরা। কোনো কোনো সময় পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ধরা পড়ে। আবার অনেক সময়ই নিরাপত্তার ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় তারা। বিশেষ করে আর্চওয়ে বা হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মাবন দেহের অভ্যন্তরে লুকায়িত অবৈধ পণ্য সনাক্ত বা চিহ্নিত করা পুরোপুরি সম্ভব না হওয়ায় পাচারাকারীরা পার পেয়ে যায়। এসব পাচারকারীদের ধরতে, পাচার ঠেকাতে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের তিন গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে মানব স্ক্যানার বসানো প্রয়োজন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মতে, ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমাবন্দর, সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের আগমন ও বহির্গমন পয়েন্টে মানব স্ক্যানার বসানো প্রয়োজন। এই অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে মানব দেহের অভ্যন্তর কোনো ধরনের ক্ষতিকারক বিকিরণ ছাড়াই স্ক্যানিং করা সম্ভব হবে। এতে করে দেহের অভ্যন্তরে কোনো পণ্য লুকিয়ে রাখলে তা সহজেই ধরা সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি মানব স্ক্যানার বসানো হবে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউস ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মানব স্ক্যানারে ধারণকৃত ইমেজের পূর্ণ নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।
তবে ওসমানী বিমানবন্দরে মানব স্ক্যানার বসানোর বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। তবে এ ডিভাইস বসানো হলে নিরাপত্তা কিংবা কাস্টমসের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।