সিলেটের কালীপ্রদীপের নির্মিতব্য বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবনে ফুটে উঠবে মুক্তিযুদ্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২:৫৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ: রাজধানীতে ১৪২ তলাবিশিষ্ট বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশের সবোর্চ্চ এই ভবন নির্মাণ করছেন সিলেটের সন্তান কালীপ্রদীপ চৌধুরী। কিন্তু মানুষের মনে আগ্রহীর কমতি নেই এই ভবনটি বাহ্যিক দিক থেকে দেখতে কেমন, কি কি থাকবে ভবনটিতে সেটা নিয়ে। ১৪২তলা উচ্চতার এই টাওয়ারের নকশা এমনভাবে তৈরি, যাতে এই ভবনের দিকে তাকালে মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়বে। নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর দুই পাশ থেকেই একাত্তর লেখা ফুটে উঠবে।
কালীপ্রদীপ চৌধুরীর জন্ম সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের দত্তরাইলে। পড়ালেখা করেছেন সিলেটের এমসি কলেজে। তারপর কলকাতা থেকে এমবিবিএস পাস করে মালয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক ডিগ্রি অর্জন করে শুরু করেন ব্যবসা।
যুক্তরাষ্ট্রে নিজ নামে তৈরি করেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কালীপ্রদীপ চৌধুরী (কেপিসি) গ্রুপ। এটি বিশ্বের শীর্ষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একটি।
কালীপ্রদীপের এই গ্রুপটিই নির্মাণ করছে দেশের সর্বোচ্চ টাওয়ার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কালীপ্রদীপ চৌধুরী ভবনটি নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আলোচনা করেন। পরে কেপিসি গ্রুপের পক্ষে অর্থমন্ত্রী ১০০ একর জায়গার ওপর মূল ভবনসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাগুলো নির্মাণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রণালয় নভেম্বর মাসে ঢাকার অদূরে পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে সিবিডি অংশে ওই জায়গা দিতে রাজি হয়। সম্প্রতি এই টাওয়ার নির্মাণে চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। নকশাও অনুমোদন পেয়েছে বলে জানা গেছে।
যা যা থাকছে টাওয়ারটিতে: ওই টাওয়ারে আন্তর্জাতিক কনভেনশন, এক্সিবিশন সেন্টারসহ হোটেল, থিয়েটার ও শপিং মল থাকবে। টাওয়ার পাশে নির্মিত হবে আরও কয়েকটি ছোট-বড় ভবন এবং নান্দনিক স্থাপনা।
কনভেনশন সেন্টারের মূল মিলনায়তনে পাঁচ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মূল স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা হবে ৫০ হাজার।
উচ্চতার দিক দিয়ে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি হচ্ছে দুবাইয়ের ১৬৫ তলার বুর্জ আল খলিফা। পূর্বাচলের আইকনিক টাওয়ার নির্মিত হলে তা হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) দুই হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার এই ভবন ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মাণের আশা করছে সরকার।