শাবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৪ কর্মীকে বহিষ্কারের সুপারিশসহ ৩৬ জন নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষে কয়েক দফা সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) এই নোটিশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইসফাকুল হোসেন বলেন- গত কয়েক দিন ধরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে।
“এ ঘটনায় ৪ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে প্রক্টরিয়াল কমিটি। তাদের কেন বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
৪ জন হলেন- ছাত্রলীগকর্মী ও বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের আজমাইন, গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের রাকিব, নৃবিজ্ঞান বিভাগের তাজবির ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের লক্ষ্মণ। এছাড়া ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার জানান।
তারা হলেন মনোয়ার হোসেন, ফাইয়াজ, নিয়াজ, তৌকির তন্ময়, রাখশ মণ্ডল, রনি তালুকদার, সজীব, সাখাওয়াত, শাহ আলম, মাহবুব, শাওন ও কামরুল ইসলাম।
এদিকে, একই ঘটনায় ৫০০ টাকা করে জরিমানাসহ কেন শাহপরান হল থেকে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে ২০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হল প্রশাসন। শাহপরাণ হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট মো. শহীদুল হোসাইন বলেন- ৩১ অগাস্ট বিকেল ৫টার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে তাদের এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
২০ নেতাকর্মী হচ্ছেন জাকারিয়া, রাব্বী, শিহাব, রুহুল আমিন, কামরুল ইসলাম, নূরে আলম, তৌকির আহমদ তালুকদার, ঝুটন, আবদুল হাদি, আমজাদ, জনি, মোশাররফ, জাকির, আরাফাত ইয়াসিন, বাসিত মিয়া, মুনকির, ইয়ামিন, স্বাধীন, মোমিন ও আজমাইন।
ফুটবল খেলার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য উত্তম কুমার দাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারীরা কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।