বিশ্বনাথে বিএনপি-জামায়াতের ২৫৩ নেতাকর্মী বেকসুর খালাস
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :
সিলেটের বিশ্বনাথে ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল ইলিয়াস ইস্যুতে ‘উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর ও ইউএনও-র গাড়ী পুড়ানো’র ঘটনায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামাল হোসেন’র দায়ের করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ২৫৩ জন নেতাকর্মীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করেন। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আবদুল গফুর। মামলার সকল আসামীকে বেকসুর খালাস পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম।
মামলার আসামীদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী (জেলা বিএনপি নেতা), ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিন (জেলা বিএনপি নেতা), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গৌছ খান, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোজাহিদ আলী, বর্তমান সভাপতি জালাল উদ্দিন (চেয়ারম্যান, বিশ্বনাথ সদর ইউপি), সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া (চেয়ারম্যান, অলংকারী ইউপি), সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন ধলা মিয়া (চেয়ারম্যান, লামাকাজী ইউপি), উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী (চেয়ারম্যান, খাজাঞ্চী ইউপি), দশঘর ইউপি চেয়ারম্যান শফিক উদ্দিন, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস আলী, দেওকলস ইউপি চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া প্রমুখ’সহ বিএনপি-জামায়াতের ২৫৩ জন নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল ইলিয়াস ইস্যুতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্বনাথ। ওই দিন বিক্ষোভকারীদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ‘উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও ইউএনওর গাড়ী (সিলেট-ঘ ১১-০২৩৮) ও ভাংচুর করা হয় সরকারি সম্পত্তি। এঘটনায় ওই দিন বিকেলে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও কামাল হোসেন। মামল নং ১৫ (তাং ২৩/০৪/১২ইং)। ‘উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও ইউএনওর গাড়ী পুড়ানো ও ভাংচুর’র ঘটনায় প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বাদী তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বিএনপি-জামায়াত’সহ তাদের সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের ২৫৩ জন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৩মে আদালতে চার্জশীট প্রেরণ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার তৎকালীন এসআই নজরুল ইসলাম।