শ্রীমঙ্গলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমি- ৭১ (ভিডিওসহ)
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ
তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল ( মৌলভীবাজার ) থেকে:
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে এমন বধ্যভূমি রয়েছে অনেক। অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে এ স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমি-৭১। দিন দিন বেড়ে চলছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য আর স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমি দেখতে ছুটে আসছেন হাজার হাজার পর্যটক। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের ঢল নামে এখানে। আনন্দ ভ্রমণ কিংবা পিকনিক করতে বন্ধুরা মিলে চলে আসছেন স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমি – ৭১ এ। আসছেন দিনের প্রথম দিকে অথবা পড়ন্ত বিকেলে। সন্ধ্যা হলেও কমতি নেই লোকজনের । বিজিবি পরিচালিত রয়েছে সীমান্ত ফ্রেশ কর্ণার। চারদিকে সবুজের লীলানিকেতন আর চায়ের বাগান সমতল চা বাগানে গাছের সারি। হয়তো এরই মাঝে একঝাঁক পাখি অথিতিদের আমন্ত্রণ জানাবে তার সুরের মুর্চ্ছনা দিয়ে। স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমির চারপাশ যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা মায়াবী এক নৈসর্গিক দৃশ্য। সুনীল আকাশ, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত চা বাগানের মনোরম দৃশ্য আপনাকে নিয়ে যাবে ভিন্ন জগতে। গাড়ি থেকে নামতেই সবুজ পাতার গন্ধ আপনার মনকে চাঙ্গা করে তুলবে। শুধু শীত নয় এই বর্ষা মৌসুমেও প্রতিদিন পর্যটকরা আসছেন স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমিতে। শ্রীমঙ্গল শহরের বনবিভাগ কার্যালয়ের বিপরীতে এবং ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের সদরদপ্তর সংলগ্ন স্থানে এ বধ্যভূমির অবস্থান। ১৪ বর্ডার গার্ড সদরদপ্তর সংলগ্ন বটকুঞ্জের (সাধুবাবার থলি) পাশে ২০১০ সালের শেষ দিকে এ বধ্যভূমিতে নির্মিত হয় স্মৃতিস্তম্ব বধ্যভূমি ৭১’। এরই ধারাবাহিকতায় এখানে নির্মিত হয় মুক্তিযুদ্ধের ভাষ্কর্য মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১, যা গত ৫ মে ২০১৩ আনুষ্ঠানিক উন্মুচন হয়। এর পর থেকেই হয়ে উঠে বিনোদন কেন্দ্র। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নজর কাড়ে। দিন দিন সৌন্দর্য বাড়ছে এ স্মৃতিস্তম্ব বধ্যভূমি ৭১’ । দর্শনার্থীদের বসার জন্য তৈরী করা হয়েছে ছাতাওয়ালা গোল ঘর। বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে পরিবার পরিজনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বেড়াতে আসেন এখানে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ভানুগাছ রোডে ১৪ বিজিবি ক্যাম্প এর পাশেই স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমি- ৭১ এর অবস্থান।