বিদেশে ৭০ খুনের সঙ্গে জড়িত সিলেটী তামিম !
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০১৬, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড সিলেটের বিয়ানীবাজারের তামিম চৌধুরী বিদেশে ৭০ খুনের সঙ্গে জড়িত বলে কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে কোন কোন খুনের সঙ্গে তিনি জড়িত সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। নারায়ণগঞ্জে শনিবার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান তামিম চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী তিন বছর আগে বাংলাদেশে আসেন। কানাডাতেও তার বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ রয়েছে। এক দশক আগে তামিম চৌধুরী কানাডার উইন্ডসোরে বসবাস করতেন। সেখানে তিনি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করেন। উইন্ডসোরে থাকাকালীন তামিম চৌধুরী ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ভ্রমণে আসেন। এ ছাড়া তিনি ওই সময় ইউনিভার্সিটি অব উইন্ডসোরে ইমাম নাভিদ আজিজের দুই সপ্তাহব্যাপী ইসলাম ধর্মবিষয়ক ক্লাস করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল কানাডার ক্যালগেরিতে থাকার সময় তামিম চৌধুরী কীভাবে সময় ব্যয় করেছেন সে বিষয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, তামিম চৌধুরী দুটি বড় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ক্যালগেরির স্থানীয় এক ইমাম নাভিদ আজিজ তামিম চৌধুরীর সঙ্গে উগ্রপন্থীদের যোগাযোগ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে কানাডা সরকার তদন্ত করলে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।
ইমাম আজিজ বলেন, তামিম চৌধুরী ছিল খুবই ভালো ছাত্র। কিন্তু প্রথমে তাকে দেখে মনে হয়নি তিনি জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। তিনি ছিলেন খুবই শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের। ২০১২ সালে ইমাম আজিজ ‘ইসলামিক ইনফর্মেশন সোসাইটি অব ক্যালগেরিতে চাকরি নেন। সেখানে শুক্রবারের প্রথম ধর্মীয় বক্তৃতায় তিনি তামিম চৌধুরীকে দেখে বিস্মিত হন। কারণ ওই সময় ইমাম আজিজ তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখতে পান। এরপর তামিম চৌধুরী আলবার্টাতে চলে যান।
তামিমের সঙ্গে আরও ৬ জঙ্গি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে লড়াই করেন। এদের মধ্যে সালমান আশরাফি নামে একজন ইরাকে আত্মঘাতী হামলা করে ৪৬ জনকে হত্যা করেন। ফারাহ মোহাম্মদ শিরদন নামে আরেকজন এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে নিজে ইসলামিক স্টেটের কর্মী বলে পরিচয় দেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে হুশিয়ারি দেন হোয়াইট হাউসে আইএসের পতাকা ওড়ানো হবে। ক্যালগেরি ক্লাস্টারের অপর দুই ভাই কলিন ও গগরি গর্ডন আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে ২০১৪ সালে মারা যান।