দক্ষিণ সুরমায় ইজি বাইকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ আগস্ট ২০১৬, ২:০৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। শনিবার দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় কয়েকটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম) জব্দ করা হয়। পরে শর্ত সাপেক্ষে আবার সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযান পরিচালনা করা হয় সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের মোগলাবাজার, খালরমুখ বাজার, পাইরচক পয়েন্ট, শিববাড়ি বাজার ও সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের গোটাটিকর পয়েন্ট পর্যন্ত।
শিববাড়ি বাজারে দেখা যায়, কয়েকটি ইজিবাইকের সামনে নাম্বারযুক্ত স্টিকার লাগানো এবং স্টিকারে লেখা ‘মহামান্য হাইকোর্টের রিট নির্দেশে এই গুলো চলছে’। এর নিচে রিটকারীর স্বাক্ষর। এই স্টিকারযুক্ত বাইকগুলো প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে রিটকারীর হাতে দেওয়া হয়।
৪ নং ইজিবাইক চালক রুবেল আহমদ বলেন, হাইকোর্টের প্রধান রিটকারী ইউছুফ খানের হাতে তারা প্রতি মাসের এক তারিখে ৩ হাজার টাকা দেন এর পর আবার নতুন করে এক মাসের মেয়াদ দিয়ে স্টিকার প্রদান করা হয়। ৫১ নম্বর বাইক চালক সাগর বলেন, যারা ৩ হাজার টাকা দেবে তারা শুধু স্টিকার পাবে।
এ ব্যাপারে হাইকোর্টে রিটকারী ইজি বাইক মালিক ইউছুফ খান বলেন, ৬৭টি বাইক দক্ষিণ সুরমার কিনব্রিজ হইতে শিববাড়ি বাজার পর্যন্ত আবার কিনব্রিজ হতে জকিগঞ্জ রোডে গোটাটিকর পয়েন্ট ও কুশিঘাট পর্যন্ত চলাচলের জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে এবং যতদিন এই রিট নিষ্পত্তি হবে না, ততদিন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকগুলো চলাচল করতে পারবে। তাই প্রশাসনের চেনার জন্য স্টিকার লাগানো হয়েছে।
প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা নেওয়ার কথা জানতে চাইলে ইউছুফ জানান, যেহেতু হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে সেহেতু একটু খরচপাতি লাগে তাই মাসে ৩ হাজার টাকা তোলা হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে রাস্তায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। কাল থেকে যদি তারা রাস্তায় আবার ইজিবাইক নিয়ে বের হন তাহলে তাদের জেল ও জরিমানা করা হবে।