জিয়ার স্বাধীনতা পদক বাতিলের সিদ্ধান্তে জাতি বিস্মিত: ফখরুল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০১৬, ৯:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিলের সিদ্ধান্তে গোটা জাতি উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মন্ত্রীসভা কমিটি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিচ্ছে। এই পদক প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে সরকার জাতিকে বিভক্ত করতে চাচ্ছে।
শুক্রবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার তার অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও জিয়াউর রহমানকে তখন থেকেই চেনে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের দলীয় মূল্যায়ন সকলের জানা। কিন্তু দলীয় মূল্যায়নে রাষ্ট্র চলে না। রাষ্ট্র সকলের। এই রাষ্ট্রকে যদি দলীয় বানাতে চান, তখন রাষ্ট্র থাকবে, দল থাকবে না।
ফখরুল বলেন, অত্যন্ত হতাশা ও দুর্ভাগ্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সরকার ঐক্যের রাজনীতিকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে গোটা জাতিকে বিভক্ত করছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাতিকে বিভাজনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সামরিক ক্ষেত্রে ছাড়া বাকি সবক্ষেত্রে পদকের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। রাষ্ট্রীয় পদক গ্রহণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমতির প্রয়োজন ছিল। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় সম্মাননার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক প্রবর্তন করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, যিনি পদক প্রবর্তন করলেন তিনি বাদ। কিন্তু পদক বাকি থাকল। তার কীর্তিও থাকবে। এটা যে কত বড় সংকীর্ণ ও আত্মঘাতী কাজ তার আওয়ামী লীগ এখন বুঝতে পারছে না। আওয়ামী লীগ যেদিন বুঝবে সেদিন আর শোধরাবার সুযোগ থাকবে না।
তিনি বলেন, ২০০৩ সালে খালেদা জিয়ার সরকার মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন। দুজনকেই রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়া হয়, আর এটা ছিল রাজনৈতিক ঔদার্য্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান ইতিহাসে শুধু নয়, বহু মানুষের হৃদয়ে বসবাস করছেন। কাজেই তিনি স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মর্যাদার আসনে থাকবেন অবশ্যই। যারা গায়ের জোরে নোংরাভাবে তাকে দেখছেন, তারাও একইভাবে মুছে যেতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম, আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিটু, মুনির হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীন প্রমুখ।