ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০১৬, ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি :
শিক্ষা অর্জনের অদ্যম ইচ্ছে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থী। আর এভাবে যাওয়া আসাতে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এই সব শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের সৈয়দ কুতুব জালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় বড়ভাগা নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়েই যাওয়া আসা করতে হয়। প্রায় ৫ বছর আগে রায়বান এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বড়ভাগা নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। সাঁকো থেকে মূল সড়কে যেতে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ও নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এতেও এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি ক্ষিপ্ত হয়। সাঁকোর নিচে কচুরিপানা বেধে যায় অভিযোগে রাতের আধারে সেতু ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বাঁশের সাঁকোর অনেক অংশ ভাঙ্গা । বাঁশগুলোও অনেক পুরোনো হয়ে গেছে । তাই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকোতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে সৈয়দ কুতুব জালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এম এ করিম জানান, এই এলাকার শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা শিক্ষা অর্জনে খুবই আন্তরিক। তাই অনেক ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসছে। আমরা এই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।