তিন বছরেও পূর্ণতা পায়নি সুনামগঞ্জের সুরমা ভ্যালি পার্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০১৬, ২:১৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
সুনামগঞ্জের সুরমা ভ্যালি পার্কের নির্মাণ কাজ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। শহরতলির ধারারগাঁও এলাকায় এই পার্ক নির্মাণে ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গেল জুন মাসে পার্কের নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চলছে। আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে পার্কের অবশিষ্ট কাজের জন্য পুনরায় এই মাসে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পার্কের কাজ শুরু করা হবে।
ধারারগাঁও গ্রামের সুরমা নদী তীরবর্তী তিন একর জায়গায় এই পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ৩ বছর আগে। পার্কের স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণসহ নদী ভাঙন রুখতে প্রকল্প কাজে নদী শাসন কাজও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এজন্য পার্কের লাগুয়া নদীর তীরে সিসি ব্লক স্থাপন করা হয়।
সরেজমিনে পার্ক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পার্কের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভাঙন রোধে স্থাপিত সিসি ব্লক নদীগর্ভে বিলীন হতে শুরু হয়েছে। ৩ স্থানে ব্লক ধ্বসে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। বৃষ্টির পানিতে মাটিও চলে যাচ্ছে নদীতে। এই সুরমা ভ্যালি পার্ক নির্মাণে ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় সুনামগঞ্জের মেসার্স পি.টি.এন্টারপ্রাইজ এবং এন.এন কন্ট্রাকশন জেবি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সালের ৫ জুলাই সুরমা ভ্যালি পার্কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
সুরমা ভ্যালি পার্কের প্রবেশ দ্বারে নোংরা অপরিচ্ছন্ন কাঁচা রাস্তা রয়েছে। ৩ দিকের বাউন্ডারি দেয়াল নেই। বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের জন্য কয়েকটি পিলার বসানো ছাড়া আর কোনো কাজ হয়নি। দৃষ্টিনন্দন কোনো স্থাপনা নেই। পার্কে প্রবেশের গেইট নির্মাণ করা হয়েছে। ছোট ছোট কয়েকটি গাছ লাগানো হয়েছে। ২১টি বসার আসন রয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক দাস বলেন, ‘আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে পার্কের অবশিষ্ট কাজের জন্য পুনরায় এই মাসে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে আগামী মাসে পার্কের কাজ শুরু করা হবে। দ্রুত পার্কের কাজ শেষ করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই পার্ক চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। পার্কের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে ঠিকাদারদের ঝামেলা হয়েছে। এই জন্য পার্কের কাজ শেষ করতে সময় লাগছে। এ পর্যন্ত ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পার্ক এলাকায় শিশুদের খেলাধুলার সরঞ্জাম স্থাপন এবং মাটি ভরাটসহ অন্যান্য কাজ শেষ করা হবে।’