দাড়িয়াপাড়ায় সিসিকের ২ কোটি টাকা মূল্যের ভূমি উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০১৬, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ভূমি উদ্ধার করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। প্রায় তিন যুগ থেকে এই জমিটি অবৈধভাবে দখলে রাখা হয়েছিল। মহানগরীর দাড়িয়াপাড়া মূলপয়েন্টের রাস্তাঘেঁষে (মেঘনা বি/৩৭) থাকা এই উদ্ধারকৃত ভূমির পরিমান ৮ শতক।
বুধবার দুপুরে মাননীয় আদালতের ডিক্রি মোতাবেক সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই জমি দখলে নিয়ে আসে। উদ্ধারকৃত জমির তপশীল হচ্ছে মৌজা: সিলেট মিউনিসিপ্যালিটি, জেএলনং: ৯১, খতিয়ান: ৩৭৮৮, দাগ নং: ৫০২৬, পরিমাণ: ০.০৮ একর।
বেলা ১২টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. শরিফুজজামানের নেতৃত্বে আইন মোতাবেক জমির দখল নিতে সেখানে উপস্থিত হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ টিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিক মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস এম আবজাদ হোসেন, ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর ও শামসুল হক, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম, কর কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) আবদুল আজিজ, এ্যাসেসর চন্দন দাশ, সহকারী প্রকৌশলী অরবিন্দ দেব ও আবদুস সোবহান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জুবেদ আলম ও তানভীর আহমেদ তামিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও ইন্সপেক্টর রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে মেট্রোপলিটন পুলিশ ফোর্স উপস্থিত ছিল।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা জানায়- বর্তমানে দাড়িয়াপাড়া পয়েন্টের রাস্তাঘেঁষে যে জমিটি আছে সেই জমিতে একসময় পুকুর ছিল, যা এলাকার মানুষ ব্যবহার করতেন। এস এ রেকর্ডমূলে এই জমির মালিক ছিল তৎকালীন পৌরসভা যা বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
২০০৭ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আযম খান বাদি হয়ে সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব মামলা দায়ের করেন, যাতে বিবাদি করা হয় হায়দর বখত চৌধুরীসহ ৯ জনকে। যার প্রেক্ষিতে মাননীয় সহকারী জজ জকিগঞ্জ আদালত ২০১৬ সালের ২২ মে সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে রায় ঘোষনা করেন এবং ২৯ মে ডিক্রি জারি করেন। চলতি মাসের ১৪ আগস্ট এই ডিক্রির আইন সংগত কপি পাওয়ার পর গতকাল বুধবার আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জমির দখল লাভ করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
এই ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন- এই জমিটির প্রকৃত মালিক সিলেট সিটি কর্পোরেশন, যা মাননীয় আদালতের রায়ে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা জমির দখল পেয়েছি।