লন্ডনে ছাতক মহিলা মাদ্রাসা নয়ালম্বাহাটি’র ইসলামী সম্মেলন সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০১৬, ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ
লন্ডন অফিস:
জামেয়া ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা নয়ালম্বাহাটি, ছাতক এর উদ্যোগে এক ইসলামী মহা সম্মেলন, লন্ডনের মাদানী গার্লস স্কুলের হলে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১০ আগস্ট বুধবার বিকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মহা সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, মাওলানা মসজিদ আলী ও পরিচালনা করেন, মাওলানা ক্বারী শামছুল হক ছাতকী এবং শুরুতে কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারা ফয়ছল আহমদ সভায় বক্তব্য রাখেন আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম বিশ্বনাথী, মাওলানা এমদাদুর রহমান আল মাদানী, হাফিজ মাওলানা মোবারক আলী, হাফিজ মাওলানা নাজির উদ্দিন, মাওলানা কাওছার আহমদ, মুফতি মওসুফ আহমদ, মাওলানা মামনুন মহি উদ্দিন, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মুফতি বোরহান উদ্দিন, মাওলানা শামছুল হক ছাতকী মাওলানা আবদুর রব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী বলেন। ইসলামী শিক্ষাই হল মুল শিক্ষা তিনি বলেন, দ্বীনি ইলিম শিক্ষা করা সকল পুরুষ ও মহিলাদের উপর ফরজে আইন। সেভাবে পুরুষের উপর নামাজ, রোজা হজ্জ্ব যাকাত ফরজ তেমনিভাবে মহিলাদের উপরও ফরজ। ইলিম ছাড়া সঠিক আমল করা যায় না। প্রধান, বক্তা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন নারীদের মধ্যে ইসলামী শিক্ষা কম াকার কারণে বেহায়ামী ও বেপর্দা কুপ্রায় নারীরা আজ নিমজ্জিত।
পুরুষ যেভাবে আলীম হাফিজ মুফতি হচ্ছেন, তেমনিভাবে মহিলাগণ ও আলীমা-হাফিজা-মুফতি হলে সমাজ উন্নত হবে। এজন্য প্রতিটি থানায় মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। আল হামদুলিল্লাহ জামেলা ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা ছাতক থানার শ্রেষ্ঠ একটি মহিলা মাদ্রাসা হয়েছে। তিনি বলেন সন্তানের জন্য প্রথম মাদ্রাসা হল মায়ের কুল, মা শিক্ষিত হলে, দ্বীনদার হলে ছেলে মেয়ে দ্বীনদার হয় ভদ্র হয় উত্তম চরিত্রবান হয়।
রিপোর্ট পেশ করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা প্রিন্সিপাল মাওলানা ক্বারী শামছুল হক ছাতকী। তিনি জামেয়া ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা নয়ালম্বা হাটি ছাতক এর পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দ্বীন দরদী মুসলমান ভাই বোনদের খেদমতে সাহায্যের জন্য বিশেষভাবে আবেদন করেন। পবিত্র রমজান মাসে উক্ত মাদ্রাসায় মুক্ত হস্তে দান করুন।
তিনি বলেন বর্তমানে ১৫০ হাত লম্বা একটি তিন তলা বিল্ডিং এর দু’তলা পর্যন্ত কাজ শেষে হয়েছে আলহাদুলিল্লাহ। তৃতীয় তলার কাজ এখন থেকে আরম্ভ হবে। এই কাজ শেষ করতে প্রায় ৭০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এতে সকলের আন্তরিক ও সার্বিক সহযোগিত কামনা করছি। প্রায় ৪৫০ জন ছাত্রী গরীব মিছকিন এতিম অসহায় লেখাপড়া করিতেছে।