সিলেটের বর্তমান কারাগারের জায়গায় পার্ক হতে পারে : অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০১৬, ৯:৪৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
সিলেট শহরে কোন ফুসফুস নেই, খালি জায়গা বা পার্ক নেই। চলতি বছরের মধ্যে ৪৬ একর জায়গা (বর্তমান কেন্দ্রীয় কারাগার) খালি হবে। সেখানে ৩টি পুকুর (দিঘি) রয়েছে। এই পুকুরগুলো আমাদের পরিবেশের জন্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে একটি মিনি চিড়িয়াখানা করা যেতে পারে। সিলেটের মানুষ ও সিলেটে আগত পর্যটকগণ এই চিড়িয়াখানাকে ফুসফুস তথা বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। তাই, সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে ১৫দিন ব্যাপি বিভাগীয় বৃক্ষমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের আচরণের পরিবর্তন হয়েছে। গাছ কাটাসহ পরিবেশ ধ্বংসকারি কর্মকান্ড থেকে মানুষ সচেতনভাবে সরে এসেছে। এতে করে বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, দেশের মোট জমির ৯শতাংশ ছিলো বনভূমি ছিলো। অনেকে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন, ১৫ কোটি মানুষের এই দেশে বনাঞ্চল বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। সেই ভবিষ্যত বাণী ব্যর্থ করে দিয়ে আমরা ইতিমধ্যে ১৭ শতাংশে পৌঁছেছি।
অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এখন লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ। অচিরেই এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
তিনি প্রত্যেককে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৩টি করে গাছে চারা লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে পরিবেশ উন্নত হবে, পরিবেশ ও বাসা-বাড়ির সৌন্দার্য বাড়বে এবং রুচির পরিবর্তন ঘটবে। এরআগে অর্থমন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ৪০ স্টল অংশগ্রহণ করেছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমদ, ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান পিপিএম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মাইনুল হাসান পিপিএম, সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উ-পরিচালক মো. আবুল হাশেম। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী ও নার্সারি মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মখলিছুর রহমান প্রমুখ।