এবার মৌলভীবাজারে সরকারী কাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০১৬, ৮:০০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রডের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করলেন উপজেলার সরকারী প্রকৌশলী।
লুকোচুরি আর দুর্নীতি ঢাকতে রাতের আধারে কাজ শেষ করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। কাজের সময় লুকোচুরি করতে পারলেও কিছুদিন পর পাকা অংশ ঝরে গেলে বাঁশের চিত্র ভেসে উঠে। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবুল কাশেমের উপর।
উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী বরাদ্দকৃত ওয়াশ ব্লক নির্মাণের সময় একটি ড্রেনের কাজে রড এর পরিবর্তে তিনি বাঁশ ব্যবহার করেন। এদিকে ওয়াশ ব্লকে বিদ্যুৎ সংযোগেও অনিয়ম করা হয়েছে। সরকারী নির্দেশকে অমান্য করে নিয়ম নীতির তোয়াক্ষা না করে ঝুকিঁপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এনিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক নির্মাণের জন্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকার বরাদ্দ হয়। এ বরাদ্দের বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবুল কাশেম।
এছাড়াও বিদ্যুৎ সংযোগের কাজও তার তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে কাজের গুনগত মানের বিষয়ে খোঁজ নিলে কৌশলে সাব কন্টেকটার কবির আহমদের উপর দায় চাপান প্রকৌশলী আবুল কাশেম ।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে জানান, রাতের আধারে কাজ করাতে গিয়ে একটি ড্রেনে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার ও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়টি প্রথমে ধরা না পড়লেও কিছু দিন পর পাকা অংশ ঝরে গেলে বাঁশের চিত্র ভেসে উঠে।
এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে, এটা পূনরায় নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
রড এর পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সাব কন্টেকটার কবির আহমদ মিস্টেক করেছেন। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে সাব কন্টাকটার কবির আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রকৌশলী আবুল কাশেম সম্পর্কে বলেন, তিনি টাকাও খাইতে জানেন, প্যাঁচও লাগাইতে জানেন। তবে বিদ্যুৎ সংযোগে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে এটা তিনি স্বীকার করেন।