পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগ ৪, বিএনপি ১, অন্যান্য ৪তে জয়ী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০১৬, ৯:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
দেশের ৯টি পৌরসভায় মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এসব পৌরসভায় এ ভোটগ্রহণ চলে। এতে আওয়ামী লীগের ৪, বিএনপির ১ ও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ৪ বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, পাবনার বেড়া, রংপুরের পীরগঞ্জ, পটুয়াখালীর গলাচিপা, বগুড়ার সোনাতলা, নড়াইলের লোহাগড়া, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ও নীলফামারীর ডোমার। এছাড়া শরীয়তপুরের নাড়িয়াতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভা নির্বাচনে ৮ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুজ্জামান খান ওরফে ভিপি শহীদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন ধলা পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৭১ ভোট।
পাবনার বেড়া পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী আব্দুল বাতেন ১৬ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকে ডা. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৮ হাজার ৪২৩ ভোট।
রংপুরের পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ তাজিমুল ইসলাম শামীম ৭ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাঈদুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭২ ভোট।
পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাজী ওহাব খলিফা ৮ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী আবু তালেব ১ হাজার ৭০২ ভোট পেয়েছেন।
বগুড়ার সোনাতলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা জাতীয় যুব শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি ৬ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী শহীদুল বারী খান রব্বানী পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৯ ভোট।
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আলম ৬ হাজার ৬০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী আবদুস সাত্তার মিলন ৪ হাজার ১০৯ ভোট পেয়ে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮২৫ ভোট।
নীলফামারীর ডোমার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু ৩ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু সুফিয়ান লেবু পেয়েছেন ৩ হাজার ৩২৮টি ভোট। প্রসঙ্গত, বিজয়ী মেয়র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম দানু ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি। এ পৌরসভায় বিএনপির অন্য কোনও প্রার্থীও ছিলেন না।
শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ী ৫ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান জুয়েল ৪ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এসব পৌরসভায় মেয়র পদে মোট ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হচ্ছেন ১৮ জন। এগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৯, বিএনপির ৭, জাতীয় পার্টির ১ ও সাম্যবাদী দলের ১ জন প্রার্থী রয়েছেন। স্বতন্ত্র থেকে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৭ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।