বালাগঞ্জে সড়কের বেহাল দশা জনদুর্ভোগে ১০ গ্রামবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০১৬, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বালাগঞ্জের আদিত্যপুর-রিফাতপুর-গহরমলী সড়কে পিচ উঠে গর্ত ভাঙন আর ফাঁটলে জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ফলে যাত্রীবাহী ছোট-বড় যানবাহনগুলো প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটিতে ভাঙন আর বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অন্তত দশ গ্রামের মানুষ। চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাটি বেহাল রূপ ধারণ করেছে। তাছাড়া বন্যাকবলিত ও হাওরাঞ্চল হওয়ায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তাটি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের অবহেলা আর গাফিলাতির কারণে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকায় রয়েছেন এলাকাবাসী। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের আদিত্যপুর মোড় থেকে শুরু হওয়া চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে কাঁচা-পাকা রাস্তাটি সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ২০০৪ সালের প্রথম দিকে রাস্তার কিছু অংশে পাকাকরণ কাজ করা হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের সঙ্গে সঙ্গেই ওই বছরের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যায়। এর পরে কয়েক দফা বন্যায় আক্রান্ত হয় রাস্তাটি। যোগাযোগ চালু রাখার স্বার্থে গত বছর বর্ষাকালে রিফাতপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে রাস্তার পিচ করা অংশে কংক্রিট বিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। অপর দিকে রিফাতপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে দক্ষিণ রিফাতপুর ভৈরবতলী পর্যন্ত আধা কিলোমিটার এবং সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক থেকে চর সুবিয়া গ্রাম পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে দু’দফায় পাকাকরণ করা হয়। তাছাড়া রাস্তার মধ্য অংশে চরসুবিয়া গ্রাম থেকে দক্ষিণ রিফাতপুর ভৈরব তলী পিচের মুখ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা এখনও পাকাকরণ করা হয়নি। ফলে এই এলাকাবাসীর একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি সম্পূর্ণ রূপে পাকাকরণ না হওয়ায় রিফাতপুর, দক্ষিণ রিফাতপুর, চড় হাড়িয়া, চরসূবিয়া, মানন, গহরমলি, রহমতপুর, কোষারগাঁওসহ দশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দেড় কিলোমিটার রাস্তায় তিন-চার বছর পর পর সামান্য মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। কিন্তু এই এলাকাটি নিুাঞ্চল হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি এবং বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ সময় রাস্তাটির উপর পানি উঠার কারণে একেবারেই ক্ষেতের জমিনের সমান হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করে নৌকাযোগে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় যেতে হয়। আবার অনেকের নৌকা না থাকার কারণে স্কুলে যেতে পারেন না। ফলে বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার সুযোগ হয়ে উঠে না। চার কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে পাকা অংশ দ্রুত সংস্কার ও অসম্পূর্ণ দেড় কিলোমিটার পাকাকরণ করার দাবি জানিয়ে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রাস্তায় দেড় কিলোমিটার পাকা না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমসহ সারা বছরই আমাদের চলাচলের খুবই সমস্যা হচ্ছে। বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন- সংস্কার এবং অসম্পূর্ণ অংশ পাকাকরণের প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।