গুলশান হামলার ব্যয়ভার বহন করে দুই পাকিস্তানী !
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০১৬, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার জন্য অস্ত্র ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক খরচের টাকা এসেছিল দুবাই থেকে। দুবাই প্রবাসী এক পাকিস্তানি তিন দফায় হুন্ডির মাধ্যমে জঙ্গিদের কাছে ৩০ লাখ টাকা পাঠান।
ঢাকার একজন অমুসলিম হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এ অর্থ পৌঁছে যায় জঙ্গিদের হাতে। টাকা গ্রহণ করেন সাব্বির ওরফে চকলেট নামে নতুন ধারার জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক ক্যাডার।
গুলশান হামলা মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
আরও জানা গেছে, ওই অর্থ দিয়ে হামলার জন্য অস্ত্র কেনা হয় ভারতের বিহার রাজ্যের একটি গোপন কারাখানা থেকে। প্রতিটি একে-২২ মেশিনগান কিনতে জঙ্গিদের খরচ পড়ে ৯০ হাজার টাকা। ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনায় টাকা পাঠানোর প্রমাণও মিলেছে তদন্তে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা সিটি ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘গুলশানে হামলাকারীদের অর্থের উৎস জানা গেছে। কারা কীভাবে কোন মাধ্যমে এসব টাকা পাঠিয়েছে এবং কারা গ্রহণ করেছে সেটাও জানা গেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে আর কোনো তথ্য দেয়া যাবে না।’
তদন্ত সংস্থার একাধিক সূত্র জানায়, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার দিন ১ জুলাই ছিল ২৫ রমজান। রোজার মধ্যেই গুলশানে হামলাকারীদের কাছে ৩ দফায় টাকা পাঠানো হয় মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই থেকে। এর মধ্যে প্রথম দফায় পাঠানো হয় ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় দফায় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও তৃতীয় দফায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দুবাই থেকে ‘হ্যান্ড পেমেন্ট’ পদ্ধতি অনুসরণ করে এ অর্থ চলে আসে সরাসরি রাজধানীর এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর কাছে। তার কাছ থেকে এই টাকা বুঝে নেন সাব্বির ওরফে চকলেট।