ঢাকায় চাকরি করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ আগস্ট ২০১৬, ৭:০১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ঢাকায় চাকরি করতে গিয়ে দরিদ্র পরিবারের এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়ে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভিকটিম ও স্বজনরা কর্মকর্তা মনিরুজ্জানসহ ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি ও বিচার দাবি করেছেন।
ভিকটিম লাইলী (ছদ্ম নাম) ও তার স্বজনদের অভিযোগে জানা গেছে, লাইলী তার ফুফাত বোন ইসরাত জাহানের সঙ্গে ৩১ জুলাই ঢাকার পল্টনের বিজয় নগরের একটি ভবনের ৭ তলায় থাকা রুপসী প্রোপারটিজ নামের আবাসন অফিসে যান। ওই অফিসের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান দেখতে সুন্দরী লাইলীকে দেখে পছন্দ করে চাকরি করার প্রস্তাব দেয়। তাকে ১০ হাজার টাকা বেতন দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে চাকরি নিশ্চিত করে। দু’পক্ষের কথামত পরদিন ১ আগস্ট লাইলী পল্টনের ওই অফিসে যান ডিউটি করতে। লাইলী অফিসে যাবার পর তার পড়নের কাপড় পছন্দ না করে, তার জন্যে একসেট নতুন পোশাকও কিনে দেন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।
এরপর বিকেলে লাইলীকে জানানো হয়, ফ্ল্যাট দেখতে ক্লায়েন্ট আসবেন, ডিউটির অংশ হিসাবে ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলতে হবে, এমন কথা বলে লাইলীকে রিকশায় করে পাশের এলাকার একটি ভবনের ৩ তলায় নিয়ে যান মনিরুজ্জামান। সেখানে নিয়ে কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান নিজে এবং আরো চারজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাতে লাইলীকে কমলাপুর রেল স্টেশনে এনে রাজশাহীগামী ট্রেনে তুলে দেয়া হয়। পরে ট্রেনের লোকজন রেলওয়ে পুলিশের সহায়তায় তাকে জয়দেবপুর স্টেশনে নামিয়ে দেয়।
জয়দেবপুর স্টেশনে নামিয়ে দিলে, মধ্য রাতে লাইলী নগরের জয়দেবপুরের ভুরুলিয়ার তরুবিথী এলাকায় তার ফুফুর বাসায় যান। বাসায় গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি স্বজনদের অবহিত করা হলে পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ভিকটিমের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারি থানায়।
এদিকে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ঘটনাটি অস্বীকার করে মোবাইল ফোন কেটে দেন।