রাস্তাবিহীন বিদ্যালয়ে নৌকাই ভরসা শিক্ষার্থীদের
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০১৬, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :
জৈন্তাপুরে বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপন করা হলেও এখনো রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। তাই বর্ষায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে শিশুরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে।
সরেজমিনে জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ঐকান্তিক চেষ্টায় বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১২-১৩ অর্থ বছরে জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা গ্রামে স্থাপন করা হয় বিরাইমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু বিদ্যালয় স্থাপন হলেও যাতায়াতের জন্য কোনো রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি এখন পর্যন্ত।
চলতি বৎসরের জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডেপুটেশনে ৩জন শিক্ষক নিয়োগ করে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যাতায়াতের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা নৌকাযোগে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করছে।
বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিক সহ ৫টি শ্রেণি পাঠদান অনুমতি থাকলেও ক্লাস চালু হচ্ছে ৩টি শ্রেণিতে। এবৎসর বিদ্যালয়টি চালু হবে কি না এনিয়ে সংশয় থাকায় এ এলাকার অভিভাবকেরা তাদের ছেলেমেয়েদের অন্যত্র ভর্তি করান। তাই অন্যান্য শ্রেণীগুলো চালু হয়নি। ২০১৭ সনে প্রতিটি ক্লাস চালু হবে বলে জানান এলাকার অভিভাবকেরা ।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জৈন্তাপুর তথ্যনুযায়ী জানা যায়, বর্তমানে রাস্তাবিহীন বিদ্যালয়ে ৩টি ক্লাসে ৫৬ জন কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়ে ক্লাস করছে। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ১৯জন, প্রথম শ্রেণিতে ২৩ জন এবং ২য় শ্রেণিতে ১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ে ৩ গুণের চেয়ে বেশে ছাত্রছাত্রী বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু রাস্তার কারণে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না বেগম জানান, আমরা ৩জন শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে কর্মরত আছি। বিদ্যালয়ের রাস্তা না থাকায় অতি বৃষ্টির সময়ে নৌকা যোগে ছাত্রছাত্রীরা আসা-যাওয়া করছেন। বিদ্যালয়ের রাস্তা একান্ত প্রয়োজন। রাস্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে; বিষয়টি শিক্ষা অফিসের নজরে আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এ জলিল তালুকদার জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিরাইমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে এবং বিদ্যালয়ের যাতায়াতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী অর্থ বৎসরের মধ্যে বিদ্যালয়ের রাস্তা নির্মাণ করা হবে।