মোবাইল ফোনে বালাগঞ্জের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার’র সাথে অকথ্য ভাষা
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০১৬, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ
ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার’র সাথে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় খারাপ আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে হুরুন্নেছা খানম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজিত রঞ্জন দাস বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরে ২৭ মে বালাগঞ্জ উপজেলার গৌরীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সন্তোষ চক্রবর্তী ০১৭৩৩১৪৭৬৮৪ নাম্বারে ফোন দিয়ে হুরুন্নেছা খানম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজিত রঞ্জন দাসের পরিচয় দিয়ে অকথ্য ভাষায় খারাপ আচরণ করেন। উক্ত বিষটি সুজিত রঞ্জন দাস শুনে তদন্ত করে এ মোবাইল নাম্বাটি গৌরীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সন্তোষ চক্রবর্তীর মর্মে অবগত হন। পরবর্তীতে সুজিত রঞ্জন দাস ২৮ জুন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হুরুন্নেছা খানম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে অন্য শিক্ষকের নাম বলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করা এটা শিক্ষার কাজ নয়। আমি উর্ধ্ধতন কর্তৃপেক্ষর নিকট বিচার প্রার্থী।
গৌরীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সন্তোষ চক্রবর্তী’র মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হুরুন্নেছা খানম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজিত রঞ্জন দাস’র সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমার নাম বলে, সন্তোষ চক্রবর্তী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়কে অকথ্য ভাষায় খারাপ আচরণ করা মানে আমাকে স্যারের নিকট হেয় পতিপন্ন করা। আমি উক্ত ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে ২৮ জুন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও আজ পর্যন্ত কোন বিচার পাইনি। বরং অভিযুক্ত কারী আমি ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে আনার জন্য।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ফোনে খারাপ আচরণের পর খোজ নিয়ে জানা যায় এই মোবাইল ফোন গৌরীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সন্তোষ চক্রবর্তীর। পরবর্তীতে হুরুন্নেছা খানম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজিত রঞ্জন দাস বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার আর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম আজাহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।