তিন দেশের সময় জানাবে সিলেট বন্দরবাজারের ‘ টাইম টাওয়ার ’!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জুলাই ২০১৬, ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যখন ঘড়ির প্রচলন ছিলো না, মানুষ সূর্যের দিকে তাকিয়ে সময় আন্দাজ করতো। তখন ক্বিন ব্রিজের পাশে নির্মাণ করা হয় আলী আমজাদের ঘড়ি। ক্বিন ব্রিজ থেকে নীচের দিকে তাকালে, চাঁদনী ঘাটের কাছেই চোখে পড়ে আলী আমজাদের ঘড়িটি।
ঐতিহ্যবাহী ওই ঘড়ি নির্মাণের ১৪২ বছর পর সিলেটে নির্মিত হচ্ছে আরেকটি ঘড়ি ‘টাইম টাওয়ার’। ঘড়িটি (টাইম টাওয়ার) নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পরও পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। নির্মাণ কাজ শেষ করতে অনেকটা বিলম্ব হলেও, অবশেষে আলো মুখ দেখতে যাচ্ছে ‘টাইম টাওয়ার’।
সিলেট নগরীর বন্দরববাজার এলাকার হকার পয়েন্টে নির্মিত হচ্ছে এ ঘড়িটি। নগরবাসীকে তিনটি দেশ বাংলাদেশ, ইউকে ও ইউএসএ’র সময় জানাবে টাইম টাওয়ারে স্থাপিত ঘড়িগুলো।
সিসিক সূত্রে জানা যায়- ‘টাইম টাওয়ার’ অর্থাৎ ঘড়িটির উচ্চতা ২৯ ফুট। টাওয়ার মাটির ওপরে ২১ ফুট এবং মাটির নিচে আট ফুট। সিলেটের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর্টসাইন প্রাইভেট লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় আট লাখ টাকা ব্যয়ে টাইম টাওয়ারের নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ কাজ একেবারে শেষের পথে।
টাইম টাওয়ারটি ত্রিভুজাকৃতির। ৪৪ ফুট লম্বা ভূমিতে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটির নকশা তৈরি করেছেন মো. এহতেশাম আলী। টাওয়ারের মধ্যে সম্মুখ, ডান ও বাঁ দিকের অংশে রয়েছে মোট তিনটি ঘড়ি। ঘড়ি তিনটিতেই বাংলাদেশ, ইউকে ও ইউএসএ’র সময় দেখতে পাবেন নগরবাসী। রাতেও সময় দেখার জন্য স্থানটি করা হবে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ১৪২ বছরের পুরোনো আলী আমজদের ঘড়ির পর নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার এলাকার হকার পয়েন্টে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ‘টাইম টাওয়ার’র নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু মাস খানেক কাজ হওয়ার পর টাইম টাওয়ার নির্মাণের কাজও থমকে যায়। পরে আবার এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। টাইম টাওয়ারের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে।
টাইম টাওয়ার নির্মাণাধীন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে- ত্রিভূজাকৃতির জায়গার উচ্চ স্তম্ভটির তিনদিকে তিনটি ঘড়ে স্থাপন করা হয়েছে। এর ঠিক মাঝখানে ঘড়িটি বাংলাদেশের সময় প্রদর্শন করবে। ডানদিকের ঘড়িটিতে দেখা যাবে ইউএসএ’র সময় এবং বামপাশের ঘড়িটিতে দেখাবে ইউকে’র সময়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান সুরমা নিউজকে বলেন- সিলেট নগরীর হকার পয়েন্টে ‘টাইম টাওয়ার’ নির্মাণ কাজ আর্টসাইন লিমিডেটের পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে। ওই প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ শেষ করলেই টাইম টাওয়ার উদ্বোধন করা হবে। তবে তারা আরো কিছুটা সময় চেয়েছে।