ওসমানীনগরের কলারাই-হলিমপুর গ্রামীণ রাস্তার বেহাল দশা; জনভোগান্তি চরমে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুলাই ২০১৬, ১০:১১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেটের ওসমানীনগরের কলারাই-মুতিয়ার গাঁও-হলিমপুর বাজার পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে এলাকার জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার ১৫টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির পাকা অংশের কার্পেটিং উঠে গিয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সলিং অংশের একাধিক স্থানে ইট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে একাধিক ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটির মুতিয়ার গাঁও-ভাগলপুর অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। কাচা অংশে কাদা ও জলাবদ্ধতা তৈরী হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার বেহাল দশায় একটু বৃষ্টি হলেই মুতিয়ার গাঁও-ভাগলপুর এলাকার বাসিন্দাদের চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার ১৫টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কলারাই বাজার (১৯ মাইল) হতে মুতিয়ার গাঁও-ভাগল পুর হয়ে হলিমপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করা প্রথম অংশে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কোথাও হাটুঁর উপরে পানি জমে রয়েছে। এছাড়া মুতিয়ার গাঁও বড় পুকুরের পাড় হতে ভাগলপুর পর্যন্ত রাস্তার এক কিলোমিটার কাচাঁ অংশের অর্ধেক পানিতে তলিয়ে গেছে এবং ইট সলিং উঠে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। রাস্তাটির ভাঙ্গনের কারণে যান চলাচল দুরের কথা, হেঁটে চলাচল করাও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তাটি বিগত ১০ বছরে সংস্কার হয়নি। এতে এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
অটোরিকশা চালক আইনুল মিয়া বলেন, পুলিশি বাধায় আমরা অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠতে পারি না। অন্যদিকে গ্রাম্য রাস্তাগুলো সংস্কারের অভাবে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র কলারাই রাস্তাটি সংস্কার হলে প্রায় দুই শতাধিক অটোরিকশা চালক যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারতাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন বলেন, পূর্বে আমি ইউপি সদস্য থাকা অবস্থায় এ রাস্তাটির সংস্কার ও প্রায় এককিলোমিটার অংশ পাকা-করণের কাজ করিয়ে ছিলাম। বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় পাকা অংশের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কাচাঁ ও ইট সলিং অংশ ভাঙ্গন ও সংস্কারের অভাবে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। এতে এলাকার বাসিন্দাদের প্রায় গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর দেয়া উচিত।