‘সৌদিতে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগ স্থগিত হয়নি’
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২৫:০৫,অপরাহ্ন ২৬ জুলাই ২০১৬
সুরমা ডেস্কঃ
সৌদি আরবে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগ স্থগিত হয়নি। আগে যেভাবে এসব শ্রমিক নেয়া হয়েছে তা এখনও অব্যাহত আছে। সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর মোহাম্মদ সারওয়ার আলম একথা জানিয়েছেন অনলাইন আরব নিউজকে। এর আগে ২৩শে জুলাই একই পত্রিকা সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে ‘সিঙ্গেল’ (অবিবাহিত অথবা ব্যাচেলর থাকেন এমন) পুরুষ গৃহকর্মীদের ভিসা দেয়া সাময়িক স্থগিত করেছে সৌদি আরব। যাদের এমন গৃহকর্মী প্রয়োজন তারা যেন অন্য কোনো দেশ থেকে তাদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন। বাংলাদেশ থেকে ‘সিঙ্গেল’ পুরুষ গৃহকর্মীর জন্য অস্থায়ীভাবে ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে সৌদি আরবের শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু ২৬শে জুলাই অনলাইন আরব নিউজ ‘নো কার্ব অন মেল ডমেস্টিক ওয়ার্কারস ফ্রম বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, সৌদি আরবের শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি সিঙ্গেল পুরুষ গৃহকর্মীর ওপর স্থগিতাদেশের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর সারওয়ার আলম এমন স্থগিতাদেশ দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন। তার মতে, সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় বলেছে, সেখানে গৃহকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। সারওয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সর্বশেষ যে জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং হয় সেখানে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগ বৃদ্ধি করতে দু’দেশই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দু’দেশই তাদের সম্পর্ক উন্নত করতে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, বিশেষ করে মানবসম্পদ খাতে। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবে এখন বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ১৩ লাখ। এর মধ্যে নারী গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। পুরুষ গৃহকর্মীদের জন্য ভিসা দেয়া শুরু হয়েছে জুন থেকে। নিয়মিত বিপুল সংখ্যক পুরুষ সৌদি আরবে যাচ্ছেন। গড়ে প্রতি মাসে সৌদি আরবে পৌঁছাচ্ছেন ৬ হাজার নারী শ্রমিক। সৌদি আরবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৪৮টি ক্যাটেগরিতে রয়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিক।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রী মুফরেজ আল হাকাবানি ও বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সৌদি আরবে বার্ষিক ভিত্তিতে যে পরিমাণ গৃহকর্মী পাঠানো হয় সে সংখ্যা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই মন্ত্রীই সম্মত হন শ্রমিকদের অভিবাসন বিষয়ক খরচ ও তাদের আরো প্রশিক্ষণের বিষয়ে।