ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪২:৫৭,অপরাহ্ন ২৬ জুলাই ২০১৬
ছাতক (সুনামগঞ্জ)সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নতুন করে ছাতক উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ১ হেক্টর রোপা আমন ফসলের বীজতলা, মৎস্য খামার, রাস্তা-ঘাট। নোয়ারাই, ইসলামপুর, চরমহল্লা, ভাতগাঁও, সিংচাপইড়, জাউয়া, দোলারবাজার, উত্তর খুরমা, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, কালারুকা, ভাতগাওঁ ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সুরমা, চেলা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বটেরখাল, বৈঠাখাল ও বোকানদীসহ সবকটি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার, পাহাড়ি নদী চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা ও অবিরাম বর্ষণে ব্যহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। প্রবল স্রোতের কারণে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পাথরবাহী বার্জ, কার্গো ও ভলগেট নৌকায় পাথর-বালু লোডিং-আনলোডিং বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এতে বেকার হয়ে পড়েছে ১০ সহস্রাধিক পাথর শ্রমিক। ইসলামপুর ইউনিয়নের রতনপুর-মনিপুরী বস্তির বেড়িবাধ ভেঙ্গে পঢ়েছে পাহাড়ি ঢলে।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দু’শিশু। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশে আসা বানের পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় অহিদুজ্জামান রাসান (১২) ও তার চাচাতো ভাই হামিদুজ্জামান আবিদ (৮) নামের দু’শিশু। রাসান ইসলামপুর ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামের কামরুজ্জামানের পুত্র ও ছাতক জালালিয়া আলিম মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র এবং হামিদুজ্জামান আবিদ একই গ্রামের বদরুজ্জামান খছরুর পুত্র ও গোয়ালগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র। সোমবার বিকেলে তলিয়ে যাওয়া এ দু’শিশুর লাশ পানিতে ভেসে উঠে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার পাভেজ আলম (১২)নামের এক শিশু বটেরখাল নদীতে সাতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সে সিংচাপইড় আলিম মাদরাসার ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের সদুখালি গ্রামের ইলিয়াছ আলীর পুত্র। সন্ধায় একটি বাঁশের সাঁকোতে আটকে পড়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।