সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে দিনভর গোয়েন্দা অভিযান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০১৬, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনভর গোয়েন্দা অভিযান চালানো হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে শুরু হওয়া কম্বিং অভিযান ‘অপারেশন আইরিন’-এর অংশ হিসেবে শনিবার ভোর থেকে দিনভর ওসমানীবিমানবন্দরে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশে বিমানবন্দর ব্যবহার করে কোনো বিস্ফোরক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসছে কিনা তা জানতেই অকষাৎ এই অভিযান। তবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এরকম কোন কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, আঞ্চলিক কার্যালয় সিলেটের সহকারী পরিচালক ইমাম গাজ্জালি জানান, তার নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম শনিবার ভোর সোয়া ৬টা থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনব্যাপী অভিযানে নামে। এ সময় গোয়েন্দা দলটি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন এবং কার্গো সেকশনে রক্ষিত পণ্যসমূহ স্ক্যানিং ও ডগ স্কোয়াডের সাহায্যে পরীক্ষা করে। অভিযান চলাকালে বিমানবন্দর কাস্টমস, ডিজিএফআই, এনএসআই, সিটিএসবি, বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৩টি দেশে একযোগে ‘অপারেশন আইরিন’ নামের বিশেষ এ অভিযানটি পরিচালিত হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউসিও) অধীনে ‘রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজো অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ (রাইলো এপি) এ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশে এ অভিযানটি পরিচালনা করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
ইতোমধ্যে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এয়ারফ্রেইট সার্কেল (ঢাকা), আইসিডি কমলাপুর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, মংলা সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দর/শুল্ক স্টেশনে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ অভিযান পরিচালিত হয়।