ওসমানীনগরে গুলিবিদ্ধ সেই যুবকের পা কেটে ফেলতে হলো
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০১৬, ৫:১১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ : সিলেটের ওসমানীনগরে বিরোধে গুলিবিদ্ধ সেই যুবকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। শুক্রবার আহতের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশপাশি ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
গত ১৫ জুলাই শুক্রবার এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন রহমত উল্লাহ’র ছেলে ফয়ছল আহমদ মালেক (৩৫)। অপর আহতরা হলেন রহমত উল্লাহ (৬০) ও তার অপর ছেলে এমএ খালিক (৩২) । সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর গজিয়া ইব্রাহিমপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই ঘটনাস্থলে গুলির খোসা পাওয়া যায়।
আহতদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা গুলিবিদ্ধ ফয়ছল আহমদ মালেকের আঘাতপ্রাপ্ত একটি পা হাটুপর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহমদ মালিক কর্তৃক পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজে ওসমানীনগর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও সাদিপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য স্বপন মিয়াকে নিয়ে মন্তব্যের জের ধরে শুক্রবার বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী গজিয়া গ্রামের মসজিদের সামনে কবির উদ্দিন চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজনের সাথে মালেকের কথা কাটাকাটি হয়েছিল গত ১৫ জুলাই। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হয়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ যুবক ফয়ছল আহমদ মালেকের পিতা রহমত উল্লাহ দাবি করেছেন এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি। পাশাপাশি উদ্ধার করতে পারেনি আগ্নেয়াস্ত্রও। রহমত উল্লাহ বাদি হয়ে ১৮ জুলাই এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলা নম্বর (১১(০৭)১৬)।
রহমত উল্লাহ’র দায়েরকৃত মামলায় আসামী করা হয়েছে মুসলেহ মিয়া, সুমন মিয়া, ইমন মিয়া, রিপন মিয়া, মাহি মিয়া, তাহের মিয়া, দুলন মিয়া, জুবেল মিয়া, শাহেদ মিয়া, বাদল মিয়া, শ্যামল মিয়াকে।