গোয়াইনঘাটে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে বার্ষিক ব্যয় ৩কোটি টাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুলাই ২০১৬, ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা:
শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি ও ঝরেপড়া রোধ করতে প্রতি বছর গোয়াইনঘাট উপজেলায় সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। দরিদ্রতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়া এ উপজেলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার জন্য দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো এ উপজেলায়ও উপবৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বাবত ২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে এ উপবৃত্তি বিতরণ শুরু হয়েছে।
উপজেলার ১১৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারী উপবৃত্তি অগ্রণী ব্যাংক, জাফলং শাখার কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ওই টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। ৩১টি সেন্টারে মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা চলতি মাসের ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
সূত্র আরও জানায়, ১ম কিস্তিতে ৬৫ লক্ষ ২ হাজার ৫০ টাকা, ২য় কিস্তিতে ৬৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩০০ টাকা, ৩য় কিস্তিতে ৭২ লক্ষ ১৬ হাজার ২৭৫ টাকা ও ৪র্থ কিস্তিতে ৭১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা প্রদান করা হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে উপবৃত্তির এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় গোয়াইনঘাটে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যায়ন করছেন। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবিদের সংখ্যা। এক সময় স্থানীয় পর্যায়ের যোগ্যতা সম্পন্ন জনবল না থাকায় গোয়াইনঘাট উপজেলায় বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা থেকে জনবল নিয়ে এ উপজেলার বিভিন্ন পদে নিয়োগ হতো। বর্তমানে এ উপজেলার যোগ্যতা সম্পন্ন প্রায় ১৫০০ যুবক যুবতী সরকারের ন্যাশনাল সার্ভিসে কর্মরত রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে উপবৃত্তি কার্যক্রম অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি ও ঝরেপড়া রোধ করতে এ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উপবৃত্তির টাকা প্রকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য শিক্ষা অফিস সর্বদা তদারকি করছেন।