সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক যেনো মৃত্যু ফাঁদ
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০১৬, ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ
মো: শাহাজাহান, বালাগঞ্জ:
সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কটি বছর তিনেক আগ থেকেই বিশাল গর্ত ভাঙ্গন আর ফাটলে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
রাস্তাটিতে একাধিকবার সংস্কার কাজ করা হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতি আর নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় অল্প দিনের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে বিশাল আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রীবাহী ছোট-বড় যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তাটির একাধিক অংশ খালে পরিণত হওয়ায় চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে পাকা সড়কের উপরে ইট সলিং করা হলেও কোন লাভ হয়নি তাতে।
দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটি ভাঙ্গন আর বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। সড়কের ভগ্নদশার কারণে গত তিন বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় প্রায় ২০ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। তাছাড়া বন্যা কবলিত ও হাওরাঞ্চল হওয়ায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তাটি ক্ষয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর গাফিলাতিতে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকায় রয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বালাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সিরিয়া বাস ষ্টেন্ড থেকে সিলেট পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই রাস্তায় ২০১৪ সালের দিকে দায়সারা সংস্কার কাজ হয়। এর মধ্যে ৫কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারহীন থাকায় যানবাহন চালক ও যাত্রীরা দুর্ভোগের পড়েন। সংস্কার বিহীন অংশের মধ্যে আজিজপুর বাজার, জামালপুর, হায়দরপুর, ছাম্পার কান্দি, আহমদপুর, গহরপুর, মোরার বাজার ও নশিওরপুর বাজার পর্যন্ত এই ৫ কিলোমিটার রাস্তায় তিন বছর আগ থেকেই বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৪ সালে রাস্তার সংস্কার কাজ চলাকালিন সময়ে ৫ কিলোমিটার অংশে কোনো কাজ করা হয়নি। গত দুই বছর যাবৎ পুরো রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
আজিজপুর বাজারের ব্যবসায়ী রাজন আহমদ বলেন, সড়কটি এমনিতেই ছোট তার মধ্যে সংষ্কারের অভাবে বড়-বড় গর্ত হয়েছে। যাত্রী সাধারণের কথা চিন্তা করে সড়কটির সংষ্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় শারশপুর গ্রামের বাসিন্ধা কলেজ ছাত্র সদরুল হাসান নবীন বলেন, গত বর্ষায় রাস্তার ভাঙ্গন কবলিত স্থান গুলোতে যাত্রীদেরকে গাড়ী থেকে নেমে পায়ে হেটে যেতে হত কিন্তু এ বছর ইট সলিং করা হলেও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমেনি বরং বেড়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে সিলেট সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিশিয়াল নাম্বারে বেশ কয়েক বার ফোন দিলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
তবে-এক বছর পুর্বে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য (২০১৫-১৬ অর্থ বছর) একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে সিলেটে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের নিশ্চিত করলেও এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি নেই।