জুমআর খুতবা ও বয়ান নজরদারির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে–মাদানী কাফেলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০১৬, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
শুক্রবার জুমআর খুতবা ও বয়ান নজরদারি করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাদানী কাফেলা বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। কাফেলা সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন নগরী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী “জুমআর খুতবা ও বয়ান নজরদারির সিদ্ধান্ত বাতিল” করার আহবান জানিয়ে কাফেলার নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রীসভার বৈঠকে নেওয়া জুমআর খুতবা ও বয়ান নজরদারি করার সিদ্ধান্ত ধর্মীয় বিধানপালনে হস্তক্ষেপের নামান্তর। শুক্রবারের বয়ানের বিষয় বস্তু কী হতে পারে এটা ইমাম-খতীবগনই র্নিধারণ করবেন। সরকারের গোলামী করা কখনো ইমাম-খতীবগণের কাজ হতে পারেনা। জাতীয় স্বার্থে ইমাম-খতীবগণের পরার্মশ নিতে পারে সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, আল্লাহর ঘরে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে ইমাম-খতীবগন ধর্মীয় আলোচনায় সরকারী নজরদারী এটা সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশে কোন জনগন মেনে নিবেনা। ইসলামী ফাউেন্ডেশন কর্তৃক র্নিধারিত বিশেষ মহলের খোৎবা মুসল্লীগন মেনে নিবেনা। তাই অবিলম্বে জুম্মার খুতবায় হস্তক্ষেপ মুলক নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সম্প্রতি গুলশানের হোটেলে এবং শোলাকিয়া ঈদগাহের পাশে যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে তাদের সাথে মসজিদ-মাদরাসা বা কোন আলেম-ওলামার সম্পর্ক নেই। মসজিদের ইমাম ও খতীবরা সর্বদা ইসলামের সঠিক বক্তব্য, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকসহ সমাজের অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়ে দেশের মানুষকে সচেতন এবং এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মুসল্লিদেরকে উৎসাহিত করেন। দেশের ক্রান্তিকালে ইমাম খতীবরা অতীতেও ভূমিকা রেখেছে বর্তমানেও রাখছে। সুতরাং অথচ এই ঘটনাকে পুঁজি করে সরকার ৯২-৯৫% মুসলমানের এই দেশে “জুমআর খুতবা ও বয়ান নজরদারি করার সিদ্ধান্ত” নিয়েছে। যা নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীর ইসলামকে সঙ্কুচিত করার অপপ্রয়াস।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম সন্ত্রাস ও হত্যাকান্ড সমর্থন করে না, কিন্তু কোন মহল যদি এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাহলে ফলাফল বিপরিত হতে পারে।
নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে যে সমস্ত কারণে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করার আহবান জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা বন্ধে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম উলামা, ইমাম-খতীবসহ দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিযে “জাতীয় ঐক গড়ে তুলুন।”