দেশের ২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোয়েন্দা নজরদারিতে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০১৬, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
গুলশানের ঘটনার পর গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে ইংরেজি মাধ্যম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে ২৩টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে রয়েছে ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৯টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ।
বৃহম্পতিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বসুন্ধরা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি’র একটি তদন্ত দল। এ দলের নেতৃত্বে ছিলেন বুয়েটের শিক্ষক প্রফেসর ডক্টর দিল আফরোজা বেগম। গত বছরের তদন্ত কার্যক্রমের সুপারিশ কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে সেটা জানার জন্য এটি নিয়মিত পরিদর্শন হলেও জঙ্গি ইস্যুটি সামনে আসায় এ বিষয়েও নতুন করে তদন্ত করেছে দলটি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের শীর্ষ বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের জঙ্গি সম্পৃক্ততার স্পষ্ট প্রমাণ আছে মন্ত্রণালয়ের কাছে। তিনি বলেন, পরবর্তীতে এসব বিষয় সম্পর্কে আমাদের জানাতে বলেছিলাম তাদের। কিন্তু তারা কিছু উত্তর দেয়নি। সেই তথ্যগুলো আমাদের কাছে আছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একাধিক প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা গোয়েন্দারা নজর রাখছে। তাদের কাছ থেকেই আমরা তথ্য পেতে পারি। নর্থ সাউথ বা স্কলাস্টিকা বলছে, যে জঙ্গিরা তাদের ছাত্র ছিল। আমরা অনুরোধ করবো কেউ যেন কোনো তথ্য না লুকায়। কারণ এখন তথ্য লুকিয়ে চাপা দিয়ে রাখলেও একসময় সেটা বিশাল বড় আকার ধারণ করবে। তথ্য থাকলে দ্রুত আমাদের জানান।
গুলশান ও শেলাকিয়াতে হামলার পর ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়। এরই মধ্যে নর্থ সাউথ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নিখোঁজ কিংবা দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা দিয়েছে।
এর বাইরে নজরদারিতে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে মানারাত, নর্দানের ঢাকা ও খুলনা ক্যাম্পাস, এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিসি ট্রাস্ট, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং, দারুল ইহসান ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়।