‘পীস’ স্কুলের সাইনবোর্ড হঠাৎ উধাও
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০১৬, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র ও সড়কের পাশে দেয়া সাইনবোর্ড ঠিক থাকলেও রাতারাতি তুলে ফেলা হয়েছে রাজশাহী নগরীতে অবস্থিত ‘পীস স্কুল অ্যান্ড কলেজে’র সাইনবোর্ড। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের বহন করা ভ্যান গাড়িতে লেখা ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামও মুছে দেয়া হয়েছে। এতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বিতর্কিত বক্তা জাকির নায়েকের ‘পীস টিভি’র সম্প্রচার বন্ধের পর দেশের ‘পীস’ স্কুল সমুহের বিষয়ে সরকারের নজরদারির পর এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
শনিবার সরেজমিনে নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় গাজী ভবনে গিয়ে দেখা যায় মুল ভবনের ‘পীস স্কুল অ্যান্ড কলেজে’র যে বড় সাইনবোর্ডটি ছিল তা নামিয়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন জায়গায় তাদের যেসব সাইনবোর্ড লাগানো ছিলো সেগুলো উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। তাদের শিক্ষার্থী বহনের যে ভ্যান গাড়িগুলো ছিল সেগুলো থেকেও নাম মুছে ফেলা হয়েছে। তবে এখনো স্কুলের লোকেশন বোর্ড ও শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র আগের মতোই রয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে গাজী ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনে ‘পীস স্কুল অ্যান্ড কলেজে’র যে সাইনবোর্ড ছিল তা নেই। ভবনটিতে শুধু গ্যালাক্সি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের সাইনবোর্ড ঝুলছে। তবে, ভবন থেকে সাইনবোর্ড সরানো হলেও শিশু শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে। ওইসব শিশু শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, ব্যাগ ও ড্রেসে ‘পীস স্কুল অ্যান্ড কলেজে’র ব্যাচ লাগানো ছিল।
এদিকে, হঠাৎ করে সাইনবোর্ড উঠে যাওয়ায় অনেক অভিভাবক ভাবনায় পড়ে গেছেন। তাদের মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, সকালে সন্তানকে রাখতে এসে সাইনবোর্ড না থাকার বিষয়টি তারা লক্ষ্য করেছেন। এ নিয়ে তারা সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে জানান। স্কুলটি আদৌ থাকবে কি না তা নিয়েও ভাবনায় পড়েছেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অনেকেই জানিয়েছেন, নাম মুছে ফেলার বিষয়টি জানার পরে তারা ‘পীস স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। তবে, তারা কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
জামায়াতে ইসলামীর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা ও রাজনৈতিক আদর্শে পরিচালিত হচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠায় দেশের ছয় জেলায় পরিচালিত ২৭টি ‘পীস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ নজরদারিতে আনা হচ্ছে। গত ৭ এপ্রিল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এসব স্কুলের পরিচালনা পর্ষদে সরকারি দলের কারা কারা আছেন তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। এসব কারণেই কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাঁচাতে এমন নাম মুছে ফেলেছে বলে ধারণা করছে অভিভাবকরা।