সিলেটের ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুলাই ২০১৬, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে গাড়ি পার্কিং, হকারদের দোকানপাটে সিলেট নগরী যেন পুরোটাই জঞ্জালময়। এ কারণে যানজট হয়ে পড়েছে নিত্যসঙ্গী। এই অবস্থায় বিশেষ করে সিলেটের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টাকে হকার ও পার্কিংমুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন।
কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে এই বিশেষ পরিকল্পনার কাজ। সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ করতে হলে রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন। যেমনটির প্রয়োজন ছিল রেজিস্ট্রারি মাঠের বেলায়। সাবেক মেয়র কামরানের হস্তক্ষেপেই ২৫ বছরের দখল ছেড়ে দিয়েছে হকাররা। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, নতুন করে গৃহীত বিশেষ পরিকল্পনা অনুসারে নগরীর বন্দরবাজারস্থ কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পয়েন্ট এবং পূর্ব-জিন্দাবাজারের জেল রোড পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার পয়েন্ট হয়ে মির্জাজাঙ্গাল এলাকা পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনা অনুসারে এসব এলাকায় কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না, রাস্তায় রাখা যাবে না নির্মাণ সামগ্রী, যত্রতত্র করা যাবে না গাড়ি পার্কিং, থাকবে না কোনো ভাসমান হকার।
পরিকল্পনার আওতায় থাকা এলাকাজুড়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য অর্ধশতাধিক বিশেষ বিন রাখা হবে। এসব এলাকার সড়কে স্ট্যান্ড সাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক নির্দেশনাও প্রচার করবে সিসিক। সিটি করপোরেশনের এই বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে একটি ‘বিশেষ টিম’। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা এই টিমের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে গৃহীত ‘বিশেষ পরিকল্পনা’র বিশেষ কোনো অগ্রগতি হয়নি এখনো। পরিকল্পনা গ্রহণের প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো শুধু নির্দিষ্ট এলাকায় কয়েকটি আধুনিক ডাস্টবিন বসানোর কাজ সেরেছে সিসিক।
তবে পরিকল্পিত এলাকার ফুটপাত হকারদের দখলমুক্ত করার চেষ্টা একাধিকবার চালিয়েছে সিসিক। কিন্তু ফুটপাত দখলমুক্ত করার কিছু সময় পরই হকাররা পুনরায় দখল করে নিয়েছে। এছাড়া নগরীর বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্টস্থ অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেছিল সিসিক। কিন্তু গাড়িচালক ও শ্রমিকদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। রমজানের কারণে গত প্রায় মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে সিসিক-এর ‘বিশেষ পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নে সব ধরনের তৎপরতায়ই ভাটা পড়েছে। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আবারও মাঠে নামার কথা বলছেন কর্মকর্তারা।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানিয়েছেন, বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সিসিক বদ্ধপরিকর। রমজান ও ঈদের কারণে এটা কিছুটা থমকে গিয়েছিল।