সিলেটে অর্ধশত কোটি টাকা মূল্যের জমি বেহাত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুলাই ২০১৬, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ: সিলেট সদর ও এর আশপাশের ৩৯ একর সরকারি জমি বেহাত হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিল (জলমহাল), পাইকারি মৎস্য বাজার, গির্জা, গোরস্তানের জায়গা ও অর্পিত সম্পত্তি। জেলার সদর উপজেলার বহর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসবাহ উদ্দিন সিলেট সদরের মিউনিসিপ্যালিটি, বহর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের সময় এসব ভূমি জালিয়াতি করেছেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশ কাটিয়ে সরকারি জমির নথিপত্র করেছেন স্থানীয় অসৎ ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের নামে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিলেট জেলা হিসাব তত্ত্বাবধায়ক (রাজস্ব) দিদারুল আলম পাটোয়ারীর তদন্তে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা মূল্যের ৩৯ একর জমি বেহাতের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। বেহাত হওয়ার কারণে ৩২ একর ৪০ শতাংশ বিলের ইজারা বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার দুই কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে আমি দ্রুত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) সঙ্গে কথা বলব।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিল, মৎস্য বাজার, গির্জা, গোরস্তান, অর্পিত সম্পত্তি বেহাতে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে এ অপরাধে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থাই নেওয়া হবে না, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনও প্রয়োগ করা হবে।’
ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি জমি বেহাত করায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ থেকে আসবাহ সম্পর্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জানানোর সুপারিশ করে সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এখনও কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি জমি বেহাত বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হবে।’
সিলেটের বহর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমার মাধ্যমে সরকারি জমি বেহাত হয়েছে, এটা সত্য নয়। প্রতি বছর ভূমি অফিসগুলোর কাজকর্ম কমপক্ষে তিনবার অডিট হয়। কোনো অডিটে আমার কোনো অনিয়ম, জালিয়াতি ধরা পড়েনি। সরকারি চাকরি করে এসব করা হলে এতদিনে আমার চাকরি থাকার কথা ছিল না।’
জালিয়াতি করে অন্যের নামে কাগজপত্র করে সরকারি জমি বেহাত করেছেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে- এরকম প্রশ্নের জবাবে আসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘মোগলাবাজার ও মিউনিসিপ্যালিটি ভূমি অফিসে আমি যোগদানের আগেই আগলফলা বিল ও মৎস্য বাজারের জমি অন্যের নামে নামজারি হয়েছে।’
আর বহর ইউনিয়নে তিনি দায়িত্বে থাকাকালে গির্জা, গোরস্তানের জায়গা ও অর্পিত সম্পত্তি অন্যের নামে নামজারি হয়েছে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই এই দুটি নামজারি হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, চারটি স্থানের ৩৯ একর জমিই আসবাহ উদ্দিন নিজে জালিয়াতি করে বেসরকারি খাতের ব্যক্তির নামে নামজারি করিয়েছেন। জালিয়াতির ঘটনা আসবাহ উদ্দিন অস্বীকার করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনি অস্বীকার করলে তো আর হবে না। কাগজপত্র কথা বলবে। প্রতিটি ঘটনার প্রতিটি কাগজে আসবাহ উদ্দিনের হাতের লেখা, সিল, স্বাক্ষর রয়েছে। ওইসব কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি ভূমি মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিলেট জেলা হিসাব তত্ত্বাবধায়কের (রাজস্ব) অফিস থেকে মিউনিসিপ্যালিটি, বহর ও মোগলাবাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অনুসন্ধানকালে ওই ৩৯ একর জমি জালিয়াতি করে অন্যের নামে কাগজপত্র করে দেওয়ার নথিপত্র পাওয়া যায়। এসব নথিপত্রে আসবাহ উদ্দিনের জালিয়াতি সংক্রান্ত লেখা ও স্বাক্ষর রয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশ কাটিয়ে সরকারি জমির নথিপত্র করেছেন স্থানীয় অসৎ ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের নামে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিলেট জেলা হিসাব তত্ত্বাবধায়ক (রাজস্ব) দিদারুল আলম পাটোয়ারীর তদন্তে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা মূল্যের ৩৯ একর জমি বেহাতের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। বেহাত হওয়ার কারণে ৩২ একর ৪০ শতাংশ বিলের ইজারা বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার দুই কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে আমি দ্রুত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) সঙ্গে কথা বলব।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিল, মৎস্য বাজার, গির্জা, গোরস্তান, অর্পিত সম্পত্তি বেহাতে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে এ অপরাধে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থাই নেওয়া হবে না, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনও প্রয়োগ করা হবে।’
ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি জমি বেহাত করায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ থেকে আসবাহ সম্পর্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জানানোর সুপারিশ করে সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এখনও কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি জমি বেহাত বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হবে।’
সিলেটের বহর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমার মাধ্যমে সরকারি জমি বেহাত হয়েছে, এটা সত্য নয়। প্রতি বছর ভূমি অফিসগুলোর কাজকর্ম কমপক্ষে তিনবার অডিট হয়। কোনো অডিটে আমার কোনো অনিয়ম, জালিয়াতি ধরা পড়েনি। সরকারি চাকরি করে এসব করা হলে এতদিনে আমার চাকরি থাকার কথা ছিল না।’
জালিয়াতি করে অন্যের নামে কাগজপত্র করে সরকারি জমি বেহাত করেছেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে- এরকম প্রশ্নের জবাবে আসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘মোগলাবাজার ও মিউনিসিপ্যালিটি ভূমি অফিসে আমি যোগদানের আগেই আগলফলা বিল ও মৎস্য বাজারের জমি অন্যের নামে নামজারি হয়েছে।’
আর বহর ইউনিয়নে তিনি দায়িত্বে থাকাকালে গির্জা, গোরস্তানের জায়গা ও অর্পিত সম্পত্তি অন্যের নামে নামজারি হয়েছে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই এই দুটি নামজারি হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, চারটি স্থানের ৩৯ একর জমিই আসবাহ উদ্দিন নিজে জালিয়াতি করে বেসরকারি খাতের ব্যক্তির নামে নামজারি করিয়েছেন। জালিয়াতির ঘটনা আসবাহ উদ্দিন অস্বীকার করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনি অস্বীকার করলে তো আর হবে না। কাগজপত্র কথা বলবে। প্রতিটি ঘটনার প্রতিটি কাগজে আসবাহ উদ্দিনের হাতের লেখা, সিল, স্বাক্ষর রয়েছে। ওইসব কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি ভূমি মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিলেট জেলা হিসাব তত্ত্বাবধায়কের (রাজস্ব) অফিস থেকে মিউনিসিপ্যালিটি, বহর ও মোগলাবাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অনুসন্ধানকালে ওই ৩৯ একর জমি জালিয়াতি করে অন্যের নামে কাগজপত্র করে দেওয়ার নথিপত্র পাওয়া যায়। এসব নথিপত্রে আসবাহ উদ্দিনের জালিয়াতি সংক্রান্ত লেখা ও স্বাক্ষর রয়েছে।