সিলেটে পরিবেশ অধিদপ্তরের ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০১৬, ১২:০৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ: করাতকল স্থাপনে পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সাবেক উপ-পরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক (স্পেশাল) আকবর হোসেন মৃধার আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন- পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সাবেক উপ-পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, সাবেক পরিদর্শক ফারুক আহমদ, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক ও সুনামগঞ্জ জেলার বুড়িস্থল গ্রামের নুরুজ্জামান দুদু।পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও পরিদর্শক ২০১০ সালের দিকে সিলেটে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মো. জিল্লুর রহমান টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, ফারুক আহমদ পরিবেশ অধিদপ্তর (সদর দপ্তর) কর্মরত।
এছাড়াও এ মামলা থেকে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক পরিদর্শক সরদার শরীফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন করা হলে আদালত তা আমলে নেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে- সুনামগঞ্জের বুড়িস্থলের বাসিন্দা আবদুর রহিম ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছ থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ করে একটি করাত কল (স’ মিল) স্থাপন করেন। পরবর্তীতে নুরুজ্জামান দুদু নামের এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটি দখল করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছাড়পত্র নবায়ন করে দেন।
এ ব্যাপারে আবদুর রহিম পরিবেশ অধিদপ্তরে আপত্তি জানান। তা সত্ত্বেও ২০১১ সালে ছাড়পত্রের নবায়ন নুরুজ্জামান দুদুর নামে করা হয়। এ কারণে আবদুর রহিম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেন।
আইনি নোটিশের কোনো জবাব না-পেয়ে ৪ জুন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেটের সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাজমুচ্ছায়াদাত গত ৫ জুন আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
মামলা পরিচালনায় থাকা সিলেটের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী উত্তরপূর্ব’কে জানান- বুধবার আদালতে শুনানি শেষে ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন।