সিলেটে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিবাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩৯:১৯,অপরাহ্ন ০৫ জুলাই ২০১৬
সুরমা ডেস্ক: দেশব্যাপী চলমান পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ও জঙ্গী তৎপরতা, ইমাম, পুরোহিত, বৌদ্ধভিক্ষু, খ্রিষ্টান ধর্মযাজক, মুক্তমনা লেখক, ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যা এবং সর্বশেষ ঢাকার গুলশানে পরিকল্পিত জঙ্গী হামলায় দেশী-বিদেশি নাগরিক ও পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যায় দেশবাসীকে এই সমস্ত জঙ্গি অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্ছার হওয়ার আহ্বান জানাতে সোমবার বিকাল ৩ টায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের আয়োজনে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে জঙ্গী-সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হয়।
প্রতিবাদে বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ কোনদিনও জঙ্গিবাদ – সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হতে দেয়া হবে না। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বির্নিমানে যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসিকে সুচ্ছার হওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, গুটি কয়েক জঙ্গিগোষ্ঠির কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ কখনোই জিম্মি হতে পারেনা। বক্তারা, বাহান্ন ও একাত্তরের মতো চলমান পরিকল্পিত জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে সর্বস্তরে সাংস্কৃতিক জাগরণ গড়ে তোলতে হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রতিবাদ কর্মসূচীতে বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকার যুদ্ধাঅপরাধিদের বিচার করতে দৃঢ়তার যে পরিচয় দিয়েছেন সম্প্রতিক সময়ের গুপ্ত হত্যা সহ পরিকল্পিত জঙ্গী হামলায় দেশী-বিদেশী নাগরিক হত্যায় সরকার অচিরেই কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহন করবে। তারা দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীদের দৃঢ় মনোবোল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
প্রতিবাদ কর্মসূচীতে রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচীর শুরুতেই সাম্প্রতিক সময়ে পরিকল্পিত হত্যায় নিহত ও সর্বশেষ গুলশানে জঙ্গী হামলায় নিহত দেশী-বিদেশী নাগরিক, পুলিশ কর্মকর্তা সহ সকলের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজামউদ্দিন লস্কর এর সভাপতিত্বে ও নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যরিষ্টার মোঃ আরশ আলী, জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক লোকমান আহমদ, সাম্যবাদি দলের কেন্দ্রীয় নেতা ধীরেন সিংহ, কমিউনিষ্ট পার্টির সিলেট জেলা নেতা কমরেড বাদল কর, জাসদ সিলেট মহানগরের সভাপতি জাকির আহমদ, ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকান্দার আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক, লেখক ড. সেলু বাসিত, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, বাসদ সিলেটের সম্মনয়ক আবু জাফর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাজনীন হোসেন, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সিলেট বিভাগের সভাপতি অনিল কৃষাণ সিংহ, আবৃত্তি সম্মনয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোকাদ্দেস বাবুল, বিশিষ্টি সংগীত শিল্পী রানা কুমার সিংহা, খেলাঘর সিলেটের সভাপতি তাজুল ইসলাম বাঙ্গালী, সম্মিলিতি নাট্য পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি সৈয়দ মনির হেলাল, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক আব্দুল করিম কিম। এছাড়াও নাট্য ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অনুপ কুমার দেব, শামসুল বাসি শেরো, মিশফাক আহমদ মিশু, শামসুল আলম সেলিম, বিভাষ শ্যাম যাদন, খোয়াজ রহিম সবুজ প্রমুখ।