সিলেটে বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা, হতাশ হোটেল মালিকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০১৬, ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ: ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নামার কথা ছিল। জুন মাসের শেষেই বুকিং হয়ে গিয়েছিল সিলেটের প্রায় সকল হোটেলের রুম। পর্যটকদের বরণ করতে সকল প্রস্তুতিও সেরে রেখেছিলেন হোটেল মালিকরা। কিন্তু গত শুক্রবার রাত গুলশান ট্রাজেডির পর সিলেটবিমূখ হয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। এ ঘটনার পর থেকে পর্যটকরা বুকিং বাতিল করা শুরু করেছেন। যে হারে প্রতিদিন বুকিং বাতিল হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ঈদের ছুটিতে সিলেট পর্যটকশূণ্য থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে বড় ধরণের ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে দাবি করছেন হোটেল মালিকরা।
পর্যটন জেলা হিসেবে সারাদেশে পরিচিত সিলেট। সিলেটের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক নৈসর্গ উপভোগ করতে সারাবছর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। সিলেটে এসে প্রকৃতিকন্যা জাফলং, জল-পাথরের অপরূপ বিছানাকান্দি, সফেদ ঝর্ণাধারা পাংথুমাই, জলারবন রাতারগুল, পান্না-সবুজ জলের লালাখাল, সীমান্তঘেষা সারি সারি পাহাড়, হাওর-বাওরের উত্তাল ঢেউ দেখে মুগ্ধ হয়ে ফেরেন পর্যটকরা। এই মুগ্ধতায় পর্যটকরা বারবার ফিরে আসেন সিলেটে।
এবার ঈদের আগে ও পরে সব মিলিয়ে সরকারি ছুটি ৯দিন। দীর্ঘ এই ছুটিতে সিলেট বেড়াতে আসার জন্য পর্যটকরা অগ্রীম হোটেল বুকিং দিয়ে রাখেন। চলতি জুলাই মাস শুরুর আগেই সিলেটের প্রায় ৩০০ হোটেলের সকল রুমই বুকিং হয়ে যায়। অনেক পর্যটক সপরিবারে ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য সিলেটকে বেছে নিয়েছিলেন। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে সিলেটের হোটেলগুলোও নতুনধাঁচে সাজানো হয়েছিল।
সংস্কার ও উন্নয়ন করে হোটেলগুলো আকর্ষনীয় করে তুলেছিলেন হোটেল মালিকরা। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে গুলশান ট্রাজেডির পর সিলেটের হোটেল ব্যবসায় যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটকরা তাদের বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন। যারা পরিবার নিয়ে সিলেটে ঈদ করার জন্য ৩-৪ দিনের জন্য হোটেল বুকিং দিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই তাদের বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সিলেট হোটেল এন্ড গেস্ট হাউস ওনার্স গ্রুপের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ জানান- ঈদের ছুটিতে সিলেটের প্রায় সকল হোটেল বুকিং ছিল। কিন্তু গুলশান ট্রাজেডির পর বুকিং বাতিল শুরু হয়েছে। গত দুইদিনে প্রায় ২০ ভাগ বুকিং বাতিল হয়েছে। পরিবার নিয়ে যারা সিলেটে বেড়াতে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন তাদের প্রায় সবাই হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবার ঈদে হোটেল ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ব্যবসায়িক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হবেন।